চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘ভবিষ্যতে আরও কড়া শাস্তি দেয়া হতে পারে’

বিসিবির অনুমতি না নিয়ে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়ার কারণে ৬ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিসিবির পরিচালনা পর্ষদ কতটা কঠোর তার একটি নজিরই দেখা গিয়েছিল তখন, ২০১৫ সালে। তিন বছর পর দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে সাব্বির রহমান একই মেয়াদে নিষিদ্ধ হতে যাচ্ছেন।

ফেসবুকে দুই ভক্তকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং হুমকি দেয়ার কারণে নিষেধাজ্ঞার খড়গে এবার সাব্বির। বারবার শৃঙ্খলাভঙ্গ করে যাওয়া এ ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে ভবিষ্যতে যদি অভিযোগ ওঠে এবং তা প্রমাণ হয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে নিষিদ্ধ হবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক।

‘আগে তার শাস্তি ছিল আর্থিক জরিমানা ও ছয় মাস নিষিদ্ধ। এরচেয়ে বড় শাস্তি হল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ। এর সাথে বলা হয়েছে, ভবিষ্যতে এরকম কিছু ঘটলে তাকে বড় শাস্তি দেয়া হবে। হয়ত তাকে দীর্ঘ মেয়াদে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।’

ঘরোয়া লিগের ম্যাচে এক কিশোর দর্শককে পেটানো ও আম্পায়ারকে হুমকি দিয়ে বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ পড়ার পাশাপাশি সাব্বির ঘরের ক্রিকেটে নিষিদ্ধও হয়েছিলেন ৬ মাস এবং জরিমানা দিয়েছেন ২০ লাখ টাকা। এছাড়া ২০১৬ সালে বিপিএল চলাকালীন টিম হোটেলে নারী নিয়ে প্রবেশ করায় বড় অঙ্কের জরিমানা গুনেছেন ‘ব্যাডবয়’ তকমা পাওয়া এ ক্রিকেটার।

আগের শাস্তিগুলো বড় হলে সাব্বির এতদিনে শুধরে যেতে পারতেন বলে মনে করেন কিনা; এমন প্রশ্নের জবাবে বিসিবির এ পরিচালক বললেন, ‘আগের শাস্তিতে আমরা হিসেবে করে দেখেছি সে হয়ত দেড় কোটি টাকার শাস্তি পেয়েছে। কেউ নিজেকে শোধরায়, কেউ শোধরায় না। একটা কথা বলতে পারি, বোর্ড সভাপতি পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গের শাস্তি কঠোর হবে। যে শাস্তিগুলো দেয়া হচ্ছে, তা বোর্ডের আলোচনার আলোকে।’

শনিবার বিসিবির ডিসিপ্লিনারি কমিটির ডাকা শুনানিতে এসেছিলেন সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। যৌতুক নিরোধ আইনে সৈকতের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার স্ত্রী। শনিবার দুপুরে ফাইল হাতে বিসিবির সভাকক্ষে শুনানি করেন এ তরুণ ক্রিকেটার। বিসিবির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে মোসাদ্দেককেও।

ইসমাইল হায়দার মল্লিক তার ব্যাপারে বললেন, ‘মোসাদ্দেকেরটা পারিবারিক মামলা। বিচার-বিবেচনা করে আমরা তাকে নির্দেশনা দিয়েছি। তাকে সাবধান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে সে যাতে নিজেকে সংযত করে চলে, এ বিষয়ে বলা হয়েছে। এটা যেহেতু বিচারাধীন বিষয়। কোর্ট থেকে যা বলা হবে, সেটাই তার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।’