শুরুতে ঝড় তুলেছিলেন ফিন অ্যালেন। শরিফুলের এক ওভারে ১৯ রান বেরিয়ে যায়। শরিফুলই পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে জোড়া উইকেট নিয়ে লাগাম টানেন। পরে রানের চাকায় গতি কমে আসলেও লাগাম টেনে ধরা যায়নি। ধরতে দেননি অপরাজিত ফিফটি তোলা টম ল্যাথাম। নিউজিল্যান্ড তাতে ১৬২ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশকে।
এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ পঞ্চম টি-টুয়েন্টিতে নেমেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। শুরুতে ব্যাট করে সফরকারীরা নির্ধারিত ওভারে ৫ উইকেটে ১৬১ রান তুলেছে।
শুক্রবার শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ফিন অ্যালেন ও রাচিন রবীন্দ্র মিলে ৩৪ বলে ৫৮ রানের ওপেনিং জুটি আনেন। ৩ চারে ১২ বলে ১৭ করা রবীন্দ্রকে মুশফিকের ক্যাচ বানিয়ে জুটি ভাঙেন পেসার শরিফুল। ষষ্ঠ ওভারের চতুর্থ বল ছিল সেটি।
ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা অ্যালেনকে ওই ওভারে এক বল পরেই সাজঘরের পথ দেখান শরিফুল। করেন বোল্ড। শুরুতে শামীমের হাতে জীবন পাওয়া অতিথি ওপেনার ফেরার আগে ৪ চার ও ৩ ছক্কায় ২৪ বলে ৪১ করে যান।
পরে উইল ইয়াং ৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ৯, হেনরি নিকোলস ২১ বলে ২০, কোল ম্যাককোনকি ১০ বলে অপরাজিত ১৭ রানের অবদান রাখেন। আর সংগ্রহ দেড়শর ওপারে টেনে নিতে নেতৃত্ব দেন টম ল্যাথাম।
কিউই অধিনায়কের তাণ্ডবে তাসকিনের করা ইনিংসের ১৯তম ওভারে ১৮ রান বেরিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত তাকে আউট করা যায়নি। ২টি করে চার-ছয়ে ৩৭ বলে ৫০ রানের অপরাজিত ইনিংস ল্যাথামের। রান সংকটের সিরিজে দ্বিতীয় ফিফটি তার।
৪ ওভারে ৩৪ রান খরচায় এক উইকেট তাসকিনের। এক উইকেট নিতে ৩ ওভারে নাসুমের খরচ ২৫। সবচেয়ে খরুচে শরিফুল, ২ উইকেট নিলেও ৪ ওভারে বিলিয়েছেন ৪৮ রান।
মাহমুদউল্লাহ ৩ ওভারে ১৭ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি। ২ ওভারে ১৪ রান দিয়ে সৌম্যও একই। শামীম এক ওভারে দিয়েছেন ৪ রান, আর বল পাননি। ৩ ওভারে ১৮ রান দিয়ে এক উইকেট আফিফের।