ছোট্ট একটি পত্রিকা চালায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইওয়ার একটি পরিবার। ছোট এই পত্রিকাটিই এবার পেয়েছে সাংবাদিকতার জগতে সবচেয়ে বড় পুরস্কার– পুলিৎজার।
‘স্টর্ম লেক টাইমস’ নামের পত্রিকাটি কৃষি কোম্পানিগুলো নিয়ে বড় বড় সংবাদ প্রকাশ করে সবার নজরে আসে। পরিবেশ দূষণে এসব বড় কোম্পানির দায় নিয়ে সম্পাদকীয় প্রকাশ করেই পুলিৎজার পেয়েছে ‘স্টর্ম লেক টাইমস’।
আইওয়ার বাসিন্দা আর্ট কালেন সম্পাদিত পত্রিকাটির সার্কুলেশন তিন হাজার। একই পত্রিকায় কাজ করেন আর্টের ভাই জন কালেন। তিনি এই পত্রিকাটির প্রকাশকও। তাদের স্ত্রী ও সন্তানও কাজ করেন এই পত্রিকায়। মাত্র ১০ জন কর্মী নিয়েই কাজ চলে পত্রিকাটির এবং কর্মীদের বেশিরভাগই একে অন্যের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত।
পুরস্কারজয়ী আর্ট কালেন স্বীকার করেন, আইওয়ার মতো একটি ছোট রাজ্য যেখানে প্রতিটি দিকে মাইলের পর মাইল জুড়ে শুধু কৃষিজমি সেখানে দ্বি-সাপ্তাহিক পত্রিকাটি চালানো নিশ্চয়ই সহজ নয়।
আপোষহীন সাংবাদিকতার জন্য কালেন ধীরে ধীরে তার কিছু বন্ধু হারিয়েছেন, কিছু বিজ্ঞাপনদাতা হারিয়েছেন, কিন্তু কখনোই নিজেদের কাজ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেননি।
তিনি বলেন, আমরা মানুষের পুরনো ধ্যানধারণা ভেঙে দিতে কাজ করতে চেয়েছি। আর আমি মনে করি এমনটাই সব ভালো খবরের কাগজের করা উচিত।
অন্য স্টাফদের মধ্যে এই খবরের কাগজে কাজ করেন জন কালেনের স্ত্রী ম্যারি, আর্টের স্ত্রী ডোলোরেস এবং তাদের সন্তান টম। এমনকি তাদের পারিবারিক কুকুর ম্যাবেলও বেশিরভাগ সময়ই পত্রিকা অফিসে সময় কাটায়। ।
বড় বড় পত্রিকার কাজ ছাড়িয়ে নিজের ছোট্ট পত্রিকার কাজের স্বীকৃতি পেয়ে খুবই খুশি কালেন।
সম্পাদকীয় বিভাগে ‘স্টর্ম লেক টাইমস’-এর দু প্রতিযোগী ছিলো ‘হিউস্টন ক্রনিকেল’ এবং ‘দি ওয়াশিংটন পোস্ট’।
আর্ট কালেন বলেন, ওয়াশিংটনে লেখা একটি সম্পাদকীয় যে আইওয়াতে লেখা সম্পাদকীয়র থেকে সবসময় ভালো হবে তেমন কোন নিশ্চয়তা নেই নিশ্চয়ই।