বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি সংক্রান্ত যে ক্ষতি হয়েছে তার দায়িত্ব সরকার প্রধান হিসেবে ওই সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এড়াতে পারেন না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তবে হাইকোর্ট বলেছে, কার কতোটুকু দায়-দায়িত্ব রয়েছে তা নির্ধারণ করবেন বিচারিক আদালত।
হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে আরও বলেন, এই মামলায় অপরাধের প্রাথমিক সত্যতা রয়েছে, আছে অপরাধ ইচ্ছার প্রমাণ।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক।
অভিযোগে বলা হয়েছে, কয়লা উত্তোলনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা সিএমসির সঙ্গে সে সময়ের মন্ত্রিসভা চুক্তির অনুমোদন দিয়ে রাষ্ট্রের ১শ’ ৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে। হাইকোর্ট এই মামলায় জারি করা রুল খারিজের পাশাপাশি কিছু পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান জানান, আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়ার যে দায়-দায়িত্ব আছে তা তিনি এড়াতে পারেন না। সেই দায়-দায়িত্বের পরিমাণ সাক্ষ্য-প্রমাণের মাধ্যমে বিচারিক আদালত নির্ধারণ করবেন।
তবে বড়পুকুরিয়া মামলার সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে দাবি করেন তার আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী। তিনি বলেন, ওই মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট অভিযোগ নেই। সেখানে যে অভিযোগগুলো রাখা হয়েছে সেগুলোকে কোনো ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা যায় না।
বড়পুকুরিয়া মামলা বাতিল আবেদন খারিজের মধ্য দিয়ে বেগম খালেদা জিয়ার এরকম সকল আবেদনই হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হলো। এর আগে গ্যাটকো এবং নাইকো মামলায়ও খালেদা জিয়ার আবেদন খারিজ করেছিলেন হাইকোর্ট।