ভারত, রাশিয়ার পর এবার বাংলাদেশে ব্লু হোয়েল গেমের আতঙ্ক এবং ফেসবুক-ক্ষুদে বার্তায় গুজব ছড়ানোর ব্যাপারে সতর্ক আছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন। ইতোমধ্যে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ব্লু হোয়েল নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর লিখিত নির্দেশনা পেলে এ বিষয়ে জোরদার পদক্ষেপ নেবে বিটিআরসি।
সরকারের গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিআরসি সামাজিক মাধ্যমে-মেসেঞ্জারে গুজব এবং গেমের লিংক ছড়ানো বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
ব্লু হোয়েল নিয়ে আতঙ্ক ছড়ানোর পর সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন মৌখিকভাবে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে বলেছেন। এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার পর চ্যানেল আই অনলাইনকে বিটিআরসি সচিব সরওয়ার আলম বলেন,‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এই গেমটি নিয়ে খোঁজ নিতে বলেছেন এটা আমি টেলিভিশন স্ক্রল থেকেই জানলাম। এ ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে লিখিত নির্দেশনা আসলে এব্যাপারে নিশ্চিত করে বলতে পারবো। তবে ইতোমধ্যে আমরা গেমটি এবং গেম নিয়ে আতঙ্ক-গুজব ছড়ানোর ব্যাপারে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ শুরু করেছি। এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-অভিযোগ পেলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা হিসেবে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে ব্লু হোয়েল সম্পর্কে কথা বলেন সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন,‘নতুন নতুন লিংকের মাধ্যমে গেমটি ছড়ানো হয়। এরকম তৎপরতা ওপর আমাদের সার্বক্ষণিক নজরদারী আছে। সামাজিক মাধ্যমে,মেসেঞ্জারে এ গেম নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। গোয়েন্দা সংস্থা, বিটিআরসি’র মাধ্যমে আমরা এই গেমের লিংক যতোটা সম্ভব ব্লক করার চেষ্টা করছি।’
গত ৫ অক্টোবর রাজধানীতে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরী আত্মহত্যা করে। ব্লু হোয়েল গেমের কারণেই এই আত্মহত্যা বলে মেয়েটির বাবা-মায়ের সন্দেহের ভিত্তিতে খবর প্রকাশ করে কয়েকটি পত্রিকা ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম। এরপরই দেশজুড়ে অনেকেরই মোবাইলফোনে এবং ফেসবুক মেসেঞ্জারে ব্লু হোয়েলের আতঙ্ক ছড়ানো মেসেজ চালাচালি শুরু হয়। তথাকথিত সতর্কতামূলক এইসব ক্ষুদেবার্তা গুজবের আগুনে ঘি ঢেলে দেয়ার মতোই। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে নতুন ইস্যু এখন ব্লু হোয়েল।
এমন পরিস্থিতিতে আজ সোমবার সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ব্লু হোয়েল গেমের ঝুঁকি, গুজব এবং কিশোরীর আত্মহত্যার সঙ্গে ওই গেমের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা বিটিআরসিকে তা খতিয়ে দেখতে বলেছেন তিনি।