প্রায় এক যুগ একসঙ্গে বাস করে রীতিমত সুখী দাম্পত্যের আইডল হয়ে গিয়েছিলেন হলিউডের সুপারস্টার জুটি ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। কিন্তু তাদের যৌথ জীবনেও নেমে আসে অবিশ্বাস। পরিণতিতে বিচ্ছেদও দেখেছে বিশ্ব। কিন্তু কেন তারা বিচ্ছেদের পথ বেছে নিয়েছেন? এমন প্রশ্ন অনেকের। এবার তা স্পষ্ট করলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি।
দীর্ঘ ১০ বছর একসাথে থাকার পর ২০১৪ সালে বিয়ে করেছিলেন ব্র্যাড পিট ও অ্যাঞ্জেলিনা জোলি। তবে বিয়ে না করে এতো বছর একসাথে থাকলেও বিয়ে করার দুই বছরের মধ্যে বিচ্ছেদ ঘটে তাদের। বিশ্ব মিডিয়ায় আলোড়ন তুলেছিলো তাদের বিচ্ছেদের খবর। বছর ঘুরে ফের আলোচনায় ব্র্যাঞ্জেলিনার বিচ্ছেদ কাহিনী!
এর কারণ মূলত সম্প্রতি অ্যাঞ্জেলিনা জোলির একটি সাক্ষাৎকারকে ঘিরে। সেখানে তিনি বিচ্ছেদের কারণ জানিয়ে ব্র্যাড পিটের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেন। তার দাবী, বিয়ের পর সন্তানদের দেখভাল করার দায়িত্ব পালন করেনি পিট। সন্তানের প্রতি মোটেও দায়িত্ববান ছিলো না সে। দাম্পত্য জীবনে কলহের অন্যতম কারণ হিসেবেও পিটের বেখেয়ালিপনাকে দায়ি করেছেন জোলি। এছাড়া বিচ্ছেদের পর অর্থনৈতিক ভাবেও সন্তানদের পাশে দাঁড়াননি পিট, এমন অভিযোগই করেন জোলি।
বিচ্ছেদের পর সন্তান কার কাছে থাকবে এটা নিয়ে বর্তমানে আদালতে মামলা চলছে। সে প্রসঙ্গেও সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন জোলি। তিনি মনে করেন, পিট একজন দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষ। তার কাছে কোনোভাবেই তিনি সন্তানদের রাখা নিরাপদ মনে করেন না।
সন্তানের অভিভাকত্ব নিয়ে আদালতের মামলার দীর্ঘসুত্রিতার কথা উল্লেখ করে জোলি আরো বলেন, যত দ্রুত সম্ভব এই মামলা শেষ করা উচিত। কারণ মামলার নিস্পত্তির উপর নির্ভর করছে কয়েকটি নিষ্পাপ শিশুর ভবিষ্যৎ।
ব্র্যাঞ্জেলিনা জুটির সন্তান রয়েছে মোট ছয়জন। যার মধ্যে তিনটি সন্তান তারা দত্তক নিয়েছিলেন। বিবাহ বিচ্ছেদের পর ছয়টি সন্তানকেই নিজের সাথে রাখতে চেয়েছিলেন জোলি। কারণ দায়িত্বজ্ঞানহীন পিটের কাছে সন্তানদের রাখাটা মোটেও নিরাপদ মনে করেন না জোলি। এখন দেখার বিষয়, আদালত এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত দেয়।