চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট ঠেকাতে প্রথম পর্যায়ের ভোটে পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমনসের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
চুক্তি ছাড়া যেন ব্রেক্সিট কার্যকর সম্ভব না হয়, এমন একটি বিল উত্থাপন করে সেটি আইন করার পক্ষে সমর্থন দিয়েছেন সংখ্যাগরিষ্ঠ এমপি।
বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার পার্লামেন্টে টোরি বিদ্রোহী এবং বিরোধী এমপিরা ৩০১ ভোটের বিপক্ষে ৩২৮ ভোটে জয়ী হয়ে ইস্যুটির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার দিন পেছানোর জন্য এবার তারা সরাসরি বিল প্রস্তাব করতে পারবেন।
এই ফলাফলের অর্থ হলো, বিজয়ী এমপিরা বুধবার থেকে কমনসের সব দায়িত্ব দখলে নিতে পারবেন। এর মাধ্যমে তারা সুযোগ পাবেন আন্তঃদলীয় একটি বিল উত্থাপনের।
বিলটি পাস হলে প্রধানমন্ত্রী জনসন বাধ্য হবেন ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ব্রেক্সিট কার্যকর প্রক্রিয়া পেছানোর জন্য ইইউ’কে আবেদন জানাতে, যদি না এমপিরা ১৯ অক্টোবরের মধ্যে নতুন একটি গ্রহণযোগ্য চুক্তি অনুমোদন করতে পারেন অথবা চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটে রাজি হয়ে যান। এমনটা হলে ৩১ অক্টোবরের মধ্যেই হবে ব্রিটেন-ইইউ বিচ্ছেদ।
ভোটের জবাবে আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব আনার কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, আগাম নির্বাচন ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নেই। এমপিরা নতুন বিল পাস করিয়ে নিলে ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ায় আরও বেশি দীর্ঘসূত্রিতা, অস্থিরতা ও দ্বিধা দেখা দেবে। তাই এমপিদেরও অক্টোবরে নির্বাচন ডাকলে তা মেনে না নিয়ে উপায় নেই।
‘দেশের জনগণকে বেছে নিতে হবে তারা কী চায়,’ বলেন জনসন।
ওদিকে বিরোধী নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, আগাম নির্বাচনের আগেই বিলটি পাস করাতে হবে।
মোট ২১ জন টোরি এমপি সরকারকে ব্রেক্সিট ইস্যুতে হারাতে মঙ্গলবার বিরোধী দলের এমপিদের সঙ্গে যোগ দেন। এদের মধ্যে কয়েকজন সাবেক মন্ত্রীও রয়েছেন।
ভোটের পর ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিট হুমকি দিয়ে বলেছে, বিদ্রোহী টোরি আইনপ্রণেতাদের সংসদীয় দল থেকে বহিস্কার করা হবে। সরকারের আশা, হুইপ মর্যাদা হারানোর ভয়ে তারা সোজা হয়ে যাবেন।