ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া পেছানোর আবেদন জানিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। কিন্তু সেই চিঠিতে সই করেননি তিনি।
ওই আবেদনপত্রের সঙ্গে পাঠানো দ্বিতীয় একটি চিঠিতেই সই না করার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন জনসন। বলেছেন, তিনি ব্যক্তিগতভাবে মনে করেন ব্রেক্সিট পেছানো ভুল হবে। যেহেতু শনিবারের ভোটের সিদ্ধান্তে বাধ্য হয়ে আবেদনপত্রটি তিনি পাঠিয়েছেন সেহেতু তাতে সই করেননি।
তবে দ্বিতীয় চিঠিটিতে তিনি ঠিকই সই করেছেন।
শনিবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমন্সে হওয়া ভোটে হেরে যান প্রধানমন্ত্রী। ফলে তিনি বাধ্য হন ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া অর্থাৎ ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার জন্য ৩১ অক্টোবরের সময়সীমা পেছানোর আবেদন করতে।
ফলে নিজের অনিচ্ছা প্রকাশ করতে সই ছাড়াই আবেদনপত্রটি জনসন তার একজন সিনিয়র কূটনীতিককে দিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।
ইইউ কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক চিঠি পাওয়ার কথা এক টুইটবার্তায় নিশ্চিত করেছেন। এখন এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তা অন্যান্য ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে বলে জানান তিনি।