ব্রিটেনের ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ইইউ পার্লামেন্টে তুমুল বিতর্ক হয়েছে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন ব্রেক্সিটের নেতৃত্ব দেয়া ইউকেআইপি নেতা নাইজেল ফ্যারাজ। তবে ফ্যারাজের দাবি, ব্রিটেনবাসীর ভোটে ইইউ’এর হাসি মিলিয়ে গেছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন ইইউ নেতাদের সাক্ষাতের আশায় থাকলেও ইইউ জানিয়ে দিয়েছে, ব্রেক্সিট ইস্যুতে অবস্থান স্পষ্ট না করলে কোনো আলোচনা নয়।
গণভোটে ব্রিটেনবাসীর ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্তের পর ইইউ পার্লামেন্টের জরুরী অধিবেশন বসে।
জোটের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির চলে যাওয়ার সংবাদ ইইউ নেতারা ভালোভাবে নেবেন না- তেমনটাই ছিল স্বাভাবিক। প্রায় সবার সমালোচনার তীর ছিলো যুক্তরাজ্যের ইউকেআইপি দলের নেতা ও ব্রেক্সিটের অন্যতম প্রধান সমর্থক নাইজেল ফ্যারাজ। ব্রেক্সিটের পক্ষে তার প্রচারণাকে ‘নাৎসি’ প্রোপাগান্ডার সাথে তুলনা করা হয়।
ব্রিটিশ সরকারকে ব্রেক্সিট নিয়ে অবস্থান পরিষ্কার করার আহ্বান জানান ইইউ কমিশন প্রধান।
এক বক্তৃতায় জার্মান চ্যান্সেল অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেছেন, যুক্তরাজ্যকে ছাড়াও ইউরোপিয় ইউনিয়ন যথেষ্ট শক্তিশালী।
সামগ্রিক ভোটে ব্রিটেন ইউরোপিয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দিলেও, স্কটল্যান্ড এবং নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড ইইউ ছাড়ার বিপক্ষে রায় দেয়। বাকি ব্রিটেনের সিদ্ধান্ত তাদের ওপর চাপিয়ে না দেয়ার আহ্বান জানান নর্দার্ন আইরিশ ও স্কটিশ নেতারা।
গণভোটে ইইউ ছাড়ার বিপক্ষে রায় দিয়েছিলো লন্ডন। সামগ্রিক ফল ব্রেক্সিটের পক্ষে যাওয়ায় লন্ডনের স্বাধীনতার পক্ষে একটি পিটিশন খোলা হয়েছে। প্রায় পৌণে ২ লাখ মানুষ এরই মধ্যে ওই আবেদনে সই করেছেন।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান বলেছেন, লন্ডনের স্বাধীনতা নিয়ে তার কোনো মত না থাকলেও, ভাঙন ঠেকাতে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণে লন্ডনকে আরও স্বাধীনতা দেয়া উচিত।