গত জানুয়ারি মাস থেকেই ব্রেক্সিট বিলে নিজ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে ভোট প্রদানের জন্য সংবাদমাধ্যমে ঝড় তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি এবং যুক্তরাজ্যের হ্যাম্পস্টেড ও কিলবার্ন এলাকার এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। এমনকি ব্রিটেনের ছায়া সরকারের ছায়ামন্ত্রী থেকে সরে দাঁড়ান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের এই এমপি।
বৃহস্পতিবার মার্কিন দৈনিক ব্লুমবার্গে ব্রেক্সিট নিয়ে একটি বিশদ কলাম লেখেন ওয়ালস্ট্রিট জার্নালের সাবেক সম্পাদনা পাতার সম্পাদক থেরেসি রাফায়েল। নিজের লেখার একটা বড় অংশজুড়ে ব্রেক্সিট বিষয়ে টিউলিপের সাহসী সিদ্ধান্তের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। ব্রেক্সিট নিয়ে তার কাছে ইউরোপীয়দের উদ্বেগের চিঠি এসেছিল বলে জানিয়েছিলেন টিউলিপ। সেই প্রসঙ্গসহ টিউলিপের আরও অনেক বক্তব্য লেখায় তুলে এনেছেন রাফায়েল।
ব্রেক্সিট বিষয়ে টিউলিপ বলেন, ‘আমার অবস্থান সবসময় পরিষ্কার। আমার নির্বাচনী এলাকার ৭৫ শতাংশ জনগণ ইউরোপরে সঙ্গে থাকার পক্ষে ভোট দিয়েছেন। এটা একটি ঐতিহাসিক সত্য বলে জানান, ৩৪ বছর বয়সী তরুণ রাজনীতিবীদ টিউলিপ সিদ্দিক।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার এবং অধিকাংশের মতো আমি কখনোই ব্রেক্সিট ভোট গ্রহনের পক্ষে যাবো না। তিনি বলেন, আমাদের অ্যামেন্ডমেন্ট ছিলো শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে, মাতৃত্বের অধিকার এবং ইউরোপীয়দের অধিকার নিয়ে । এর কোনটাই এখনো পূরণ হয়নি। যদি এর একটিও পূরণ হতো তাহলে ব্রেক্সিট বিলে ভোটের জন্য হয়তো বিবেচনা করতাম।
রাফায়েলের লেখায় উঠে এসেছে টিউলিপের নানা বাংলাদেশের স্থপতি এবং প্রথম প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কথা। বঙ্গবন্ধু সপরিবারে আততায়ীর হাতে নিহত হলেও টিউলিপে মা বেঁচে যান। তার জন্ম হয় ব্রিটেনে। তিনি ইউরোপ এবং এশিয়ায় বসবাস করেছেন।
সেই প্রসঙ্গ টেনে টিউলিপ বলেন, ব্রেক্সিট হলে আমিও হতে পারতাম না ।
টিউলিপ সিদ্দিক বলেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকার বসবাসকারী প্রায় ১৭ হাজার ইউরোপীয়ানের বিভিন্ন সময়ে নানা উদ্বেগের চিঠি আমার কাছে আসে।
টিউলিপ সিদ্দিক ব্রেক্সিট বিরোধীদের বলেন, অনেকগুলো দল সম্মিলিতভাবে ব্রেক্সিট নিয়ে কাজ করছে যা সংবাদমাধ্যমে বিভিন্ন সময় উঠে এসেছে। এই মুহূর্তে যদিও তাদের পক্ষ থেকে আমাদের অভিমতকে পাশ কাটানোর মতো তেমন কোনো কৌশল দেখা যাচ্ছে না। থেরেসা মে শপথ করেছিলেন দুই বছরের শেষে ব্রেক্সিট বিষয়ে ভোটের ব্যবস্থা করবেন। তখনই বিরোধীরা তাদের মতামত দিতে পারবেন।