ব্রেক্সিট কার্যকরের আগে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে চুক্তি নিশ্চিত করতে নতুন উদ্যমে চেষ্টা করবেন বলে কথা দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকেই প্রতি সপ্তাহে দু’বার করে যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিদের সাথে ইইউ প্রতিনিধিদের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। ১৭-১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিতব্য সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে বৈঠকগুলো হবে।
ইইউ জানিয়েছে, তারা আশা করছে চুক্তির জন্য যুক্তরাজ্য ‘বাস্তবসম্মত প্রস্তাবনা’ খুঁজে বের করবে। সংগঠনটির এক মুখপাত্র বলেন, আলোচনার জন্য ইইউ’র দরজা খোলা রয়েছে।
‘আমরা এই দীর্ঘ প্রক্রিয়ার স্বার্থে সপ্তাহে ৭ দিন টানা ২৪ ঘণ্টা কাজ করারও আগ্রহ প্রকাশ করেছি,’ বলেন তিনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া অর্থাৎ ব্রেক্সিট কার্যকরের তারিখ ৩১ অক্টোবরের মাত্র নয় সপ্তাহের মতো বাকি। এর আগে টানা পাঁচ সপ্তাহ পার্লামেন্ট স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়ে ইতোমধ্যে নিজদল এবং বিরোধী দলের এমপিদের তোপের মুখে পড়েছেন জনসন।
আরও পড়ুন: ব্রিটেনের রাজনীতি: এর পরে কী?
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর জনসন প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, মরে-বেঁচে যে করেই হোক, চুক্তিসহ বা চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট প্রক্রিয়া তিনি সম্পূর্ণ করবেনই। তাই এমপিরা অভিযোগ করছেন, ব্রেক্সিট নিয়ে যেন আলোচনার বেশি সময় পাওয়া না যায় তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এক্ষেত্রে চুক্তি ছাড়াই ব্রেক্সিট কার্যকরের আশঙ্কা থাকে।
বিরোধী দলীয় অধিকাংশ এবং ক্ষমতাসীন কনজার্ভেটিভ পার্টির অনেক এমপিই চুক্তি ছাড়া ইইউ ছাড়তে নারাজ। তাদের আশঙ্কা, এমনটা হলে ব্রিটিশ অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
এদিকে পার্লামেন্ট স্থগিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর আহ্বানে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সম্মতির পর দেশটিতে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ইইউপন্থি এবং চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট বিরোধীরা সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভ, আইনগত ব্যবস্থা এবং দশ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছে।
বিরোধীদলীয় নেতা জেরেমি করবিন প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ‘গণতন্ত্র ধ্বংস এবং সংসদীয় ইতিহাসের কালো অধ্যায়’ বলে অভিযোগ করে পার্লামেন্ট খুলে দেয়ার দাবি জানান।