ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা না থাকার প্রশ্নে ব্রিটিশ গণভোটের পর পরিস্থিতি সামলাতে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাসোয়া ওঁলাদ এবং জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এক সঙ্গে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
ব্রিটিশ বিরোধী দল লেবার পার্টির বিদ্রোহে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বরিস জনসন।
ব্রিটেনের গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জয়ী হওয়ার পর থেকেই বিশ্ব রাজনীতি এবং অর্থনীতিতে প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের ঐক্য যাতে কোনো প্রকার হুমকির মুখে না পড়ে সে জন্য ফ্রান্স এবং জার্মানি আলোচনায় বসে। দেশ দু’টির শীর্ষ নেতা ফ্রাসোয়া ওঁলাদ এবং অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ব্রিটিশ গণভোটের প্রভাব মোকাবেলায় এক সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল ইতালির প্রধানমন্ত্রী মাত্তেও রেনজি, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্কের সঙ্গে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ইউরোপে গিয়ে ব্রিটিশদের ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্তে দুঃখ প্রকাশ করলেও ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে তাদের সর্ম্পকের কোনো অবনতি হবে না বলে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে শুক্রবারের পর সোমবার আবারও পাউন্ডের দর পতন হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছেড়ে যাওয়ায় ব্রিটিশ অর্থনীতিতে এর প্রভাব পড়বে বলে স্বীকার করেছেন দেশটির অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবোর্ন।
বিরোধী লেবার পার্টির অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নেতৃত্বের হুমকির মুখে থাকা বিরোধী দলীয় প্রধান জেরেমি করবিন সোমবার নতুন করে তার ছায়া মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করতে যাচ্ছেন। লেবার পার্টির নেতা বরিস জনসন দেশ ও দলের সংকটময় মুহূর্তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান।