চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্রেক্সিটের ব্যর্থতা হবে বিশ্বাসের সর্বনাশা লঙ্ঘন: টেরেসা মে

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, ব্রেক্সিট কার্যকরের প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে তা হবে যুক্তরাজ্যের গণতন্ত্রে এক সর্বনাশা ও ক্ষমার অযোগ্য বিশ্বাস লঙ্ঘন।

সানডে এক্সপ্রেস পত্রিকায় তার লেখা এক প্রবন্ধে ব্রিটিশ এমপিদের সতর্ক করে এ কথা বলেছেন তিনি।

ওই লেখায় প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ হাউজ অব কমনসে মঙ্গলবার অনুষ্ঠিতব্য ভোটাভুটিতে তার প্রস্তাবিত ব্রেক্সিট চুক্তিকে সমর্থন দেয়ার অনুরোধ জানান।

মে বলেন, সমর্থন না দিলে হয়তো যুক্তরাজ্যকে কোনো সুবিধাজনক চুক্তি ছাড়াই ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছাড়তে হবে; অথবা হয়তো ইইউ থেকে আর বেরিয়ে আসাই হবে না।

হাউজ অব কমনসে এর আগে কয়েকবার ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে আসার প্রক্রিয়া বা ব্রেক্সিট ইস্যুতে এমপিদের সমর্থন পাবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে এসেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। অধিকাংশ এমপিই টেরেসা প্রস্তাবিত খসড়া চুক্তিটা পছন্দ করছেন না।

এখন খবর শোনা যাচ্ছে, কমনসের এমপিরা পরিকল্পনা করছেন মে’কে পেছনে ফেলে পুরো প্রক্রিয়াটির নিয়ন্ত্রণ নিজেরা নিতে এবং সম্ভব হলে ২০১৬ সালে হওয়া গণভোটের ফলাফলটাকেই পাল্টে দিতে।

এক্সপ্রেস জানিয়েছে, পরিকল্পনাটি করছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের এমপিদের একটি মিলিত গ্রুপ, যেখানে সাবেক টোরি সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীও আছেন।

মনে করা হচ্ছে, এই গ্রুপটি এমন একটি সংশোধনী তৈরির চেষ্টায় আছেন যা কার্যকর হলে সরকার দ্বারা বেশি গুরুত্ব পাওয়া এমপিদের চেয়ে পেছনে থাকা এমপিদের বিভিন্ন প্রস্তাবনা বেশি গুরুত্ব পাবে। এর ফলে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কার্যপদ্ধতি বদলে যাবে রাতারাতি।যুক্তরাজ্য-টেরেসা মে-ব্রেক্সিট

কমনসের অধিকাংশ এমপিই চান না চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট কার্যকর হোক। সুতরাং পরিকল্পনাটি কার্যকর হলে পার্লামেন্ট তখন সরকারের চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট কার্যকরের চেষ্টাকে আইন করে বেআইনি ঘোষণা করতে পারবে। এমনকি যুক্তরাজ্যের ইইউ ত্যাগই বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

সিনিয়র কনজার্ভেটিভ ব্যাকবেঞ্চার এমপি নিক বোলস শনিবার এমন পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেছেন।

সানডে টাইমসকে তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন একটি কৌশল আছে যা পার্লামেন্টকে ব্রেক্সিট আলোচনার ওপর নিয়ন্ত্রণ দেবে এবং ২৯ মার্চের মধ্যে কোনো চুক্তি না হলে চুক্তি ছাড়া যেন আমরা ইইউ ছাড়তে না পারি তা নিশ্চিত করবে।’

মঙ্গলবারের ভোটে টেরেসা মে হেরে গেলে এমপিরা ব্রেক্সিটের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু করবেন – এমন তথ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।