প্রযুক্তি উদ্ভাবনের পাশাপাশি সাশ্রয়ী আর্থিক পরিষেবায় প্রবেশ এবং এর ব্যবহারের মূল্যায়ন করে ২০১৫ সালের ফিনন্সিয়াল ও ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি প্রকল্প (FDIP) প্রকাশ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ‘ব্রুকিংস ইনস্টিটিউট।
ব্রুকিংস এফডিআই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, বিশ্বের ২১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ রয়েছে ১৬তম স্থানে। আর আর্থিক নিরাপত্তার দিক থেকে মোবাইল ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়।
এই গবেষণার জন্য মৌলিক কিছু প্রশ্ন করা হয়েছিলো, যার উত্তরের ওপর ভিত্তি করে র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠনাটির গবেষক জন ডি ভিলাসিনোর, ডারেল এম ওয়েস্ট এবং রবিন জে লুইস গবেষণাটি করেন। বাংলাদেশ ছাড়াও তাদের গবেষণার দেশ ছিলো আফগানিস্তান, ভারত, পাকিস্তান, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, ইথিওপিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, মালাবি, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, পেরু, ফিলিপিন্স, রুয়ান্ডা, সাউথ আফ্রিকা, তানজানিয়া, তুরস্ক, উগান্ডা এবং জাম্বিয়া।
বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে পিছিয়ে থাকলেও এগিয়ে আছে পাকিস্তানের চেয়ে। ভারতের অবস্থান নয় নম্বরে। আর পাকিস্তান আছে ১৮ নম্বরে। শীর্ষে আছে কেনিয়া। তারপরই সাউথ আফ্রিকা এবং ব্রাজিলের অবস্থান।
দেশগুলো চারমাত্রার ৩৩টি সূচকের উপর ভিত্তি করে স্কোর এবং স্থান পেয়েছে। বাংলাদেশ সব মিলিয়ে পয়েন্ট পেয়েছে ৬৭। এছাড়াও রাষ্ট্রীয় প্রতিশ্রুতির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান অষ্টম। মোবাইল সক্ষমতায় দ্বিতীয়। উপার্জনের সার্বিক পরিবেশের দিক থেকে আছে ১৭তম স্থানে। আর গ্রহণের দিক থেকে ১৫ তম।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ব্যাংকের চেয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে মানুষের আস্থা কম। মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় প্রতারণার জন্য এই আস্থাহীনতা বাড়ছে। ২০১৪ সালে মোবাইল ব্যাংকিং সম্পর্কে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ৬৪ শতাংশ অপরিচিত ছিলো। তবে তাদের ৯১ শতাংশ এ সম্পর্কে সচেতন ছিলো।
গবেষণায় জিডিপি দেখানো হয়েছে ১শ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর প্রাপ্ত বয়স্ক জনসংখ্যা ১শ ১০ মিলিয়ন। মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪২ শতাংশ। আর আর্থিক লেনদেনে অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৩১ শতাংশ মানুষের। নারীদের ক্ষেত্রে এটি ২৬ শতাংশ।
এই বছরের রিপোর্ট এবং বিশ্বজুড়ে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কার্যক্রম পরীক্ষার বার্ষিক রিপোর্ট সিরিজের প্রথমটি ২৬ আগস্ট জনসম্মুখে প্রকাশিত হবে।