হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের নিরপত্তায় আন্তর্জাতিক সার্ভিস কন্ট্রাকটর নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সার্ভিস কন্ট্রাকটর বাংলাদেশের নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তায় ত্রুটি আছে এমন অভিযোগ তুলে গত ৯ মার্চ থেকে ঢাকা থেকে কার্গো পরিবহন বন্ধ করে দেয় যুক্তরাজ্য। এরপরই বিমানবন্দরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেয় সরকার।
এরই অংশ হিসেবে ব্রিটিশ একটি কোম্পানিকে সার্ভিস কন্ট্রাক্টরের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিশ্লেষকরা একে ‘ব্রিটিশ হুমকিতে ব্রিটিশ কোম্পানিকে কাজ’ হিসেবে বর্ণনা করলেও সরকারের কেউ এ বিষয়ে মন্তব্য করেননি।
নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে দুপুরে ব্রিটিশ হাইকমিশনার এলিসন ব্লেকের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বিমানবন্দরের নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক মানে নিয়ে যেতে সব ধরণের ব্যবস্থা নেবে সরকার।
তিনি বলেন, আমরা একমত হয়েছি যে, ব্রিটেনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন সার্ভিস কন্ট্রাক্টর যারা বিভিন্ন বিমানবন্দরে নিরাপত্তা ও পরামর্শ দেয়, তাদের আমরা আমাদের বিমানবন্দরে নিয়োগ দেবো। তারা আমাদের যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে।
পরে বিমান বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেন, এই বিদেশি কোম্পানি যারা আসবে তারা প্রথম দিন থেকেই ট্রেনিং শুরু করবে এবং সুপারভাইজিংয়ের যে কাজগুলো আছে সেগুলো তারা দেখবে।
‘আমাদের যারা আছে তাদের তারা (ব্রিটিশ কোম্পানি) সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে। আমরা এটাকে আউটসোর্সিং করছি না। তাদের হাতে পুরোটাই তুলে দিচ্ছি না। আমরা তাদের সার্ভিস নেবো। আমরা যেটা চিন্তা করেছি যে প্রথমে হয়তো আলোচনার ভিত্তিতে ৬ মাসের জন্য সার্ভিস নেবো। তারপর হয়তো সময় বাড়বে।’
যুক্তরাজ্যের বেঁধে দেওয়া সময় অর্থ্যাৎ ৩১ মার্চের আগেই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী।