চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্রিটিশ শাসনের ৭০ বছরে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের অবস্থান

৭০ বছর হলো অবিভক্ত ভারত ছেড়ে গেছে ব্রিটিশরা। ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের কবলে থেকে রক্ষা পায় ভারত। এরপরই বিভক্ত হয়ে পড়ে ভারত ও বাংলাদেশ। তবে এতগুলো বছর শেষে কতটা উন্নতি-অনুন্নতির চক্করে পড়েছে এই উপমহাদেশ সেটি মাত্র আটটি চার্টের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে পুরোপুরি।

বিশেষ করে ব্রিটিশ অনুশাসন থেকে বেরিয়ে কতটা উন্নতির পথে গেছে এসব দেশ? জাতিসংঘের দ্বারা মাঝারি উন্নয়নের দেশ হিসেবে অ্যাখ্যায়িত হয়েছে বাংলাদেশ ভারত ও পাকিস্তান। এবং তিনটি দেশের অর্থনীতিই এখন খু্বই সমৃদ্ধ।

নিচের চার্টগুলোতে দেখুন তিনটি দেশের পুরোপুরি অবস্থান

১৯৯০ সালের তুলনায় মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ সব দেশেই বেড়েছে। তবে চীনের পরিবর্তনটা সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যনীয়।

এমনকি এই সময়ের মধ্যে ব্রিটিশ উপনিবেশে থাকা এসব দেশের আয়ুষ্কালও বেড়েছে। চার্টে দেখা যায় বাংলাদেশের মানুষেরও আয়ুষ্কাল বেড়েছে বেশ পরিমাণে।

এই চার্টেও সবচেয়ে এগিয়ে চীন। আর সবচেয়ে পিছিয়ে পাকিস্তান।

এই চার্ট বলছে মোট জাতীয় আয়ে অবদানে মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীরা ভারতের নারীদের থেকে বেশ খানিকটা এগিয়ে। এর মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে বাংলাদেশের মেয়েদের অংশগ্রহণ।

দারিদ্রের হারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে ভারত। তারপরেই অবস্থান বাংলাদেশের। সবচেয়ে কম দারিদ্র চীনে।

আর অপুষ্টির শিকার শিশুদের সংখ্যায় এগিয়ে রয়েছে পাকিস্তান। এমনকি এখানেও ভারতের থেকে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। কম অপুষ্টির শিকার বাংলাদেশের শিশুরা।

৫ বছরের নিচে শিশুমৃত্যৃর হারের তুলনা করে তৈরি করা এই চার্ট বলছে বাংলাদেশ শিশুযত্নের ক্ষেত্রে খুবই পরিবর্তন এনেছে। তাতেই শিশুমৃত্যুর হার কমেছে অনেকাংশে।

জাতিসংঘ যেটাকে অ্যাখ্যায়িত করছেন, অনিশ্চিত কর্মসংস্থান হিসেবে। সেখানেও বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের থেকে এগিয়ে রয়েছে ভারত। এই চার্ট অনুসারে মানুষ এমিন কিছু কাজে যুক্ত থাকে যেখানে কাজের নিরাপত্তা নেই এবং লাভজনক নয়।