‘ইটস কামিং হোম’ স্লোগানে তখন ৫২ বছর পর ফাইনালে ওঠার স্বপ্নে বিভোর ইংলিশরা। অতিরিক্ত সময়ে সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে প্রথমবারের মতো ফাইনালে ক্রোয়েশিয়া। ইতিহাস গড়ার পর ক্রোয়েট অধিনায়ক লুকা মদ্রিচ বলেছেন, এই ম্যাচের আগে ইংল্যান্ড তাদের ছোট করে দেখেছিল, সেটার জবাব তারা মাঠেই দিয়েছেন।
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল খেলবে অথচ ব্রিটিশ মিডিয়া বাড়াবাড়ি করবে না, তা কি করে সম্ভব? স্বাভাবিকভাবেই তারা ক্রোয়েশিয়ার নানান দুর্বলতা খুঁজে বের করার চেষ্টা করে। আর সেটাই কাল হয়েছে সাউথগেটের শিষ্যদের। মদ্রিচের ভাষায়, ওইসব সমালোচনা তাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে!
সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে মদ্রিচ-রাকিটিচরা। জয়ের পরে ইংলিশ মিডিয়ার সমালোচনা করে বি-ইন স্পোর্টসকে মদ্রিচ বলেন, ‘কিছু সাংবাদিক ও পণ্ডিতরা টেলিভিশনে এই ম্যাচ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমাদের ক্লান্ত বলে সমালোচনা করেছেন; তারা আমাদের চলন্ত অথচ মৃত বলেছেন। এই অবমূল্যায়ন ছিল বিশাল ভুল। তাদের আরো নম্র আর শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত ছিলো। তারা তো ক্রোয়েশিয়াকে পাত্তাই দিতে চায়নি। এটা অনেক বড় ভুল ছিল। এসব শুনে আমরা ঠিক করেছিলাম, ঠিক আছে, আমরাও দেখিয়ে দেবো!’
টানা দুই ম্যাচে ট্রাইবেকারে খেলা ক্রোয়েশিয়া অনেকটাই ক্লান্ত থাকবে সেমির আগে, খোদ ক্রোয়েশিয়া কোচ দালিচই বলেছিলেন এটা। তবে ক্লান্ত থাকলেও ইংল্যান্ডকে ছেড়ে কথা না বলার ঘোষণাও দিয়েছিলেন। মদ্রিচরা সেটাই প্রমাণ করেছেন মাঠে, ‘কারা ম্যাচ শেষে ক্লান্ত হয়, সেটা বুঝিয়ে দিয়েছি আমরা। আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে এগিয়ে ছিলাম তাদের চেয়ে। আসলে অতিরিক্ত সময়ের আগেই ম্যাচ জিততে পারতাম। এটা ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসে সবচেয়ে বড় জয়। এটা সত্যিই স্বপ্নের মতো।’
মদ্রিচ বলেন, ‘এটা এখন সবকিছু। এটা আমাদের কাছে তথা পুরো ক্রোয়েশিয়ার কাছেই স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হওয়ার মতো বিষয়। এই বিশ্বকাপের আগে কেউ আমাদের সুযোগ দেয়নি। কিন্তু পুরো টুর্নামেন্টজুড়ে আমাদের মান, ইচ্ছা, একতা এবং লড়াই করার মানসিকতা মিলে আজ আমরা ফাইনালে।’