যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের নিম্ন কক্ষ হাউস অব কমন্সের অধিবেশন চলাকালে পার্লামেন্টের বাইরে সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বনেতারা। এ ঘটনায় তারা যুক্তরাজ্যের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের অঙ্গিকার ব্যক্ত করেছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সন্ত্রাসী হামলার নিন্দার পাশাপাশি লন্ডন পুলিশের সাহসিকতার প্রশংসা করেছেন।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রঁসোয়া ওঁলাদ ব্রিটেনের প্রতি সহমর্মীতা দেখিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াইয়ের কথা জানিয়েছেন।
জার্মান চ্যাঞ্জেলর আঞ্জেলা মের্কেল জানিয়েছেন, জার্মানী সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ব্রিটেনের পাশে থাকবে।
একটি ঘটনায় ছুরি হাতে এক ব্যক্তি পুলিশের উপর হামলা চালায়। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে সে আহত হয়। আরেকটি ঘটনায় ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজের কাছে গাড়ি চাপায় কয়েকজন হতাহত হয়।
বুধবার বিকালে ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ পাওয়ার কথা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়। ছুরি হাতে এক ব্যক্তিকে প্রাসাদের প্রাঙ্গণে দৌড়াতে দেখা যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।
তার পেছনে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ছুটছিলেন। পুলিশের বরাতে বিবিসি জানায়, একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তবে নিহত ব্যক্তি কে, তিনি কী কারণে চড়াও হয়েছিলেন পুলিশের উপর- সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
পার্লামেন্ট ভবনে অবস্থানরত রয়টার্সের এক সাংবাদিক বলেছেন, ফটকের ভেতরে আহত দুজনকে চিকিৎসাকর্মীরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। এই ঘটনায় অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন বলে রয়টার্সের এক আলোকচিত্রী জানিয়েছেন। তবে তারা কীভাবে আহত হন, সে বিষয়ে কিছু জানা যায়নি।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওয়েস্টমিনস্টার প্যালেসের খুব কাছেই সেই শব্দ পাওয়া যায়। রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকেরা ভবনের বাইরে ব্যাপক সংঘর্ষের শব্দ পেয়েছেন বলে টুইট করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন তারা আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যেতে দেখেছেন।
স্কাই নিউজ বলেছে, ওই শব্দ পাওয়ার পরপরই পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি করা হয়। পার্লামেন্ট সদস্যদেরও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে নিরাপদে রয়েছেন বলে তার মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন।