ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া বিষয়ক ব্রেক্সিট বিলটি অবশেষে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে পাশ হয়েছে। পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হাউস অফ লর্ডসে প্রস্তাবটি পাশ হলো।
এর মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৫০ অনুসারে ব্রেক্সিট বিষয়ক আলোচনা ইইউ’র সঙ্গে শুরু করার ক্ষমতা পেলেন। সংসদে পাশ হওয়ার পর ইইউ ছাড়তে যুক্তরাজ্যের এখন আর কোনো বাধা রইলো না।
বিবিসি জানিয়েছে, ব্রিটেনের রাণীর সম্মতি পেলে এই প্রস্তাবটি আজ মঙ্গলবারই আইনে পরিণত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পার্লামেন্টের অভিজাত বা পিয়াররা যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ইইউ নাগরিকদের অধিকার নিশ্চিত করার বিষয়টি নিয়ে প্রথমে কঠোর ছিলেন। কিন্তু এমপিরা তাদের আপত্তিগুলোকে বাতিল করে দেয়ার পর পিয়াররা তাদের দাবি থেকে সরে আসেন। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, ইইউ নাগরিক যারা যুক্তরাজ্যে বসবাস করছেন তাদের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে সরকার আন্তরিক। এরপর চূড়ান্ত ব্রেক্সিট প্রস্তাবের ওপর একটি অর্থপূর্ণ ভোট হয়।
ব্রেক্সিট প্রস্তাবের এই চূড়ান্ত মুহূর্তেই স্কটল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নিকোলা স্টার্জন এক ঘোষণায় জানিয়েছেন, স্কটিশদের স্বাধীনতার লক্ষ্যে দেশটিতে আরেকটি গণভোটের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুমতি চাইবেন তিনি।
স্টার্জন মনে করেন, ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণেই গণভোটটি দরকার। কেননা স্কটল্যান্ডের বহু মানুষ ইইউ-তে রয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছিল। স্টার্জন বলেন, স্কটিশরা যদি সত্যিই এমনটি চায় তাহলে যুক্তরাজ্য থেকে বের হওয়ার লক্ষ্যে ২০১৯ সালের আগেই এই গণভোটটি অনুষ্ঠিত হতে হবে। তিনি চান, ভোটটি ২০১৮’র হেমন্ত থেকে ২০১৯’র বসন্তের মাঝেই গণভোটটি হোক।
এর জবাবে অবশ্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে বলেছেন, স্বাধীনতার জন্য স্কটল্যান্ডে আবারও গণভোট হলে তাতে বিভেদ সৃষ্টি হবে। এতে অনিশ্চিত পরিস্থিতির তৈরিরও আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।