চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ব্রিটিশ পার্লামেন্টে তিন বাঙালি

ব্রিটেনের ৫০ মিলিয়ন ভোটার ৬শ’৫০টি আসনে ভোট দিয়ে নিজেদের প্রতিনিধি নির্বাচন করেন। এসব আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নাম লেখায় ১১ জন বাংলাদেশি। তাদের সাতজনই লেবার পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।

কিন্তু তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা শেষে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নির্বাচনে জায়গা করে নিয়েছে ৩ বাঙালি। তারা হলেন টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী, রুশনারা আলী এবং ড. রূপা হক।

টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী:

লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্টির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এমপি নির্বাচিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী।

তিনি নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের সাইমন মারকাসকে এক হাজার একশ’ ৩৮ ভোটে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকী দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের মেরটন কাউন্সিলের মিচাম এলাকায় ১৯৮২ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশ, ব্রুনেই, ভারত, সিঙ্গাপুর, স্পেনে বাল্যকাল কাটিয়েছেন।

রুশনারা আলী:

ব্রিটিশ পার্লামেন্টের প্রথম বাংলাদেশী এমপি রুশনারা আলী ব্রিটেনের এবারের সাধারণ নির্বাচনেও এমপি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি লেবার দলের হয়ে ইংল্যান্ডের বেথনালগ্রীন ও বো আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন প্রায় পঁচিশ হাজার ভোটের ব্যবধানে। রুশনারা পেয়েছেন ৩২ হাজার তিনশ’৮৭ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির ম্যাথিউ স্মিথ পেয়েছেন ৮হাজার সাত ভোট।

সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার বুরকী গ্রামের মেয়ে রুশনারা আলী।

ড. রূপা হক:

লন্ডনের ইলিং সেন্ট্রাল অ্যান্ড অ্যাকটন আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন লেবার পার্টির বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত প্রার্থী ড. রূপা হক। তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই আসনের নির্বাচনে মাত্র ২৭৪টি ভোটের ব্যবধানে তিনি জয়লাভ করেন।

এই আসনে রূপা হক ২২ হাজার ২টি ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ পার্টির এঞ্জি ব্রে ২১ হাজার ৭শত ২৮ টি ভোট লাভ করেন।

রূপার বাবা-মা ১৯৬০ সালে ব্রিটেনে আসেন। ১৯৭২ সালে লন্ডনের হেমারস্মিথে জন্ম নেয়া রূপা ১৯৯১ সালে লেবার পার্টির সদস্য হন। তিনি একাধারে লেখক, কলামিস্ট, মিউজিক ডিজে। রূপা হকের আদি বাড়ি পাবনায়।