নির্বাচনের আগে ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বানোয়াট খবর কী প্রভাব ফেলতে পারে তার উদাহরণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বশেষ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর দাবি, ফেসবুক ও অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো বানোয়াট খবরের কারণে পাল্টে যায় মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিযোগ উঠেছে ব্রাজিলের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনেও সামাজিক মাধ্যমের অপব্যবহার হচ্ছে। ফেক নিউজ বা বানোয়াট খবর ছড়িয়ে ভোটারদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। ব্রাজিলে বানোয়াট খবর ছড়ানোর জন্য ফেসবুকের আওতাধীন মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
দেশটির নির্বাচনে প্রধান দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাইর বলসোনারো এবং ফেরনান্দো হাদ্দাদের ভার্চুয়াল যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে উঠেছে হোয়াটসঅ্যাপ। হাদ্দাদের অভিযোগ, হোয়াটসঅ্যাপে বলসোনারোর পক্ষের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী তার বিরুদ্ধে বানোয়াট খবর-অপপ্রচার চালাতে বিপুল টাকা ঢালছে।
হোয়াটসঅ্যাপে কোনরকম বিশ্বাসযোগ্যতা যাচাইয়ের সুযোগ না থাকা এসব বানোয়াট খবরে বামপন্থী হাদ্দাদকে কট্টর কমিউনিস্ট হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, হাদ্দাদ প্রেসিডেন্ট হলে ব্রাজিলকে কমিউনিস্ট কিউবার মতো বিচ্ছিন্ন দেশে পরিণত করবেন। শুধু তাই নয় শিশুদের সমকামীতার দিকেও নাকি ঠেলে দেবে হাদ্দাদের দল!
ব্রাজিলের একটি সংবাদপত্রের প্রতিবেদন বলছে, সামাজিক মাধ্যমে অপপ্রচার চালানোর ক্যাম্পেইনে বলসোনারোর পক্ষের ব্যবসায়ী গোষ্ঠী ইতোমধ্যে ৩ মিলিয়নেরও বেশি ডলার ব্যয় করেছে। আর এতে খোদ বলসোরানোই ইন্ধন যুগিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন হাদ্দাদ।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সমর্থকদের এই প্রবণতা থেকে দূরে থাকতে বলেছেন বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বলসোনারো।