দলীয় প্রতীকের কারণে নির্বাচন প্রভাবিত হচ্ছে মন্তব্য করে অনেক জায়গায় সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত স্থানীয় প্রশাসন। বিদ্রোহী প্রার্থী নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি বলে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে উৎকন্ঠাও আছে তাদের। তবে ব্যালট দখলের চেষ্টা হলে বুলেট দিয়ে প্রতিরোধ করা হবে প্রশাসন হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে।
প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীকে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মাঠে ঘাটে এখন নৌকা আর ধানের শীষের আওয়াজ। ঘুম হারাম করা নির্বাচনী প্রচারণায় পাশাপাশি প্রতীকের লড়াইয়ে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সহিংসতা। এখন পযর্ন্ত নির্বাচনী সংঘর্ষে মারা গেছে ৬ জন।
প্রথম দফা নির্বাচন হচ্ছে ৩৬ জেলার ৭শ ৩২টি ইউনিয়নে। এসব নির্বাচনের বেশিরভাগই উপকূলবর্তী অঞ্চলে। সবচে বেশী নির্বাচন হচ্ছে বরিশাল বিভাগের ৬ জেলায়, ২শ ৭১টি ইউপিতে।
নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবে আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দেড় লাখ সদস্য। কিন্তু একদিকে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন, অন্যদিকে বড় দলগুলোর বিদ্রোহী প্রার্থীদের মারমুখী অবস্থানে অনেক ছক কষতে হচ্ছে দক্ষিণ অঞ্চলের প্রশাসনকে।
দক্ষিণ অঞ্চলে প্রতিদিনই কোনো না কোনো ইউপিতে সহিংসতা হচ্ছে। তবে প্রশাসন বলছে, বেশ কিছু ইউপি এতটাই দুর্গম যে সেখানে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পৌঁছানো কঠিন। তবে ওইসব জায়গায় কোস্টগার্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর জন্য বিশেষ ট্রলারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
সারাদেশের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার ইউপিতে নির্বাচন হবে ৬ ধাপে। ৪ জুন শেষ হবে নির্বাচন। ১৬টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। ইউপি নির্বাচনে ভোটার সংখ্যা ৮ কোটি।