সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভোট গণনাকে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় করা মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে থাকা ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বুধবার বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলকে জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী।
একই মামলায় বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরীকে জামিন দেন। আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ।
গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির দুই দিনব্যাপী নির্বাচনে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের পর ফলাফল ঘোষণা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্যপট তৈরি হয়। ৭ মার্চ রাতেই ভোট গণনার পক্ষে সোচ্চার হন সম্পাদক প্রার্থী নাহিদ সুলতানা যুথী। তবে আওয়ামী লীগ সমর্থিত সম্পাদক প্রার্থী শাহ মনজুরুল হক ৮ মার্চ বেলা ৩ টায় ‘দিনের আলোতে’ ভোট গণনা চাচ্ছিলেন। এ বিষয় নিয়েই একপর্যায়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মাঝে হট্টগোল থেকে মারামারির ঘটনা ঘটে। সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির অডিটোরিয়ামে সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফের ওপর আক্রমণে অনেকেই বহিরাগত ছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়।
একপর্যায়ে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুর রহমান চৌধুরী সাইফ তাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। সে মামলায় এবারের নির্বাচনের স্বতন্ত্র সম্পাদক প্রার্থী অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও বিএনপির প্যানেলের সম্পাদক প্রার্থী ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজলসহ ২০ জনকে আসামি করা হয়। পরবর্তীতে এই মামলার দুই নম্বর আসামী সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী বশির আহমেদ, ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, হাসানুজ্জামান, তরিকুল ইসলাম ও এনামুল হককে গ্রেফতার করা হয়। একপর্যায়ে রিমান্ডে নিয়ে হয় জিজ্ঞাসাবাদের পর আসামীদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত। পরবর্তীতে নিম্ন আদালতে দুই দফায় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল সহ গ্রেফতার অপর আসামীদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।