লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না, আবার খুব ছোটও নয়। চলতি যুব বিশ্বকাপে ছোট-বড় দলগুলো যখন রানবন্যা ছোটাচ্ছে, তখন ভারতের ছুঁড়ে দেয়া ২৬৬ রানের চ্যালেঞ্জ টপকাতে কেবল দায়িত্বশীল হলেই চলত। সেই দায়িত্বশীলতা খোলসে আটকে ফেলে বাংলাদেশের যুবাদের। অতিসাবধানী হতে যেয়ে পুরোপুরি রক্ষণাত্মক। ফলে রান তোলার ধীরগতির সঙ্গে উইকেট হারানোর চাপ। কোয়ার্টার ফাইনালে শেষঅবধি হার ১৩১ রানে।
নিউজিল্যান্ডের কুইন্সটাউনে টস জিতে ব্যাটিংয়ে এসে চার বল হাতে রেখে গুটিয়ে যাওয়ার সময় ২৬৫ রান জমা করে ভারতের যুবারা। এক পর্যায়ে বড় রানের লক্ষ্য চোখ রাঙ্গালেও শেষদিকে প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানদের চেপে ধরেন টাইগার বোলাররা। তাদের গড়ে দেয়া সেই সুযোগ হাতছাড়া করে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৩৪ রানে, ৪২.১ ওভারেই।
রান তাড়ার শুরুটা সাবধানী ছিল। ২৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেটের পতন। ফিরে যান ১২ রান করা নাঈম। পরের উইকেট সাজঘরে ফেরে ৫৫ রানে। অধিনায়ক সাইফ ফিরে যান ১২ রানেই।
এর মাঝে দলীয় ফিফটি পেরোতে ১৫ ওভারের বেশি খরচ করে ফেলে যুবারা। প্রয়োজনীয় রানরেট তখন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন সময় ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করা পিনাক ঘোষও সাজঘরে হাঁটা দিলে আর আর ঘুরে দাঁড়ান যায়নি।
পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট গেছে। ইনিংসে সাত ব্যাটসম্যান দুইঅংকের কোটা পেরিয়ে গেলেন। অথচ দ্বিতীয় সর্বোচ্চটি মাত্র ১৮ রানের, অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ফেরা আফিফ হোসেনের।
বাকিদের মধ্যে মাহিদুল ১০, হাসান ১১, রবিউলের অপরাজিত ১৪ কেবল দলীয় সংগ্রহটা একশ পেরোতেই সহযোগীতা করেছে।
ভারতের হয়ে নাগারকোটি ৩টি ও শিভাম-অভিষেক ২টি করে উইকেট নিয়ে জয় এগিয়ে এনেছেন। অন্য উইকেটটি রয়ের। দুই টাইগার যুবা ফিরেছেন রানআউটে।
এর আগে ব্যাটিংয়ে এসে ভারতের শুরুটা ছিল বাংলাদেশের যুবাদের জন্য আতঙ্ক জাগানিয়া। ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারালেও একপর্যায়ে ৩৬ ওভারে ৭ উইকেট হাতে রেখে ১৭৬ রান তুলে ফেলে রাহুল দ্রাবিড়ের শিষ্যরা।
ওপেনার পৃথ্বী পঙ্কজ শোর (৪০) সঙ্গে জুটি গড়ে ৮৬ রান তোলেন শুভমন গিল। নাঈম হাসানের বলে ব্যক্তিগত ৮৬ রানে শুভমন উইকেটরক্ষক মাহিদুল হাসান অঙ্কনের হাতে ধরা পড়ার পরেই ধস নামে ইনিংসে।
দেশাই ৩৪ ও অভিষেক শর্মা ৫০ ছাড়া মিডলে বলার মত রান পাননি আর কোন ভারতীয় যুবা।
ভারতের মিডলঅর্ডার ধসিয়ে দেয়া পেসার কাজী অনিক নেন ৩ উইকেট। আরেক পেসার নাঈম হাসানের শিকার ২ উইকেট। ভারতের লেজ ছেঁটে দিয়ে অধিনায়ক সাইফ হাসানের শিকারও জোড়া উইকেট। সমান একটি করে উইকেট পেয়েছেন হাসান মাহমুদ ও রবিউল হক।