টাইগার ব্যাটিং লাইন আপকে গুড়িয়ে দুই ম্যাচ টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে ম্যাশ বাহিনীর বিপক্ষে ৫২ রানের বড় জয় পেছে সফরকারি সাউথ আফ্রিকা। এই জয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেলো প্রোটিয়ারা।
যাদের বিপক্ষে সাফল্য বলতে ২০০৭ বিশ্বকাপে একমাত্র ওডিআই জয়। তারপরও বিশ্বকাপ এবং বিশ্বকাপ পরবর্তি সময়ে সময়ে টাইগার ক্রিকেটের সাফল্য আশা জাগিয়ে ছিলো ১৬ কোটি ক্রিকেট ভক্তের মনে। সেই পালে হাওয়াও লেগেছিলো প্রথম ওভারে স্কোর বোর্ডে ২ রান যোগ হতেই এবি ডি ভিলিয়ার্সকে আরাফত সানি ফেরানোর পর। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কুইন্টন ডি কক ও ফাপ ডু-প্লেসিস স্কোর বোর্ডে ২৯ রান যোগ করলে সাময়িক বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠে প্রোটিয়ারা।
৩১ রানে কক ফেরায় ডু-প্লেসিসের সঙ্গি হন জেপি ডুমিনি। কক নাসিরের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। তারা দুজনে স্কোর বোর্ডে যোগ করেন ৪৬ রান। ব্যাক্তিগত ১৮ রানে আরাফাত সানির বলে ফেরেন ডুমিনি। তখন ১১.২ ওভার শেষে আফ্রিকানদের স্কোর বোর্ডে রান ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭। এর স্বল্প ব্যবধানে ডু-প্লেসিসের সঙ্গি হওয়া মিলারও সাকিবের ঘূর্ণিতে এলবিডাব্লিউ এর শিকার হলে ক্রিজে আসেন রিলে রুশো।
মিলারকে ফিরিয়ে টি-২০র ইতিহাসে প্রথম ব্যাটম্যান হিসাবে কোনো দেশের হয়ে একই সঙ্গে সর্বোচ্চ রান ও সর্বোচ্চ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখালেন দেশ সেরা এ ক্রিকেটার। শেষ পর্যন্ত ডু-প্লেসিস ও রুশো অপরাজিত থেকে দলকে ১৪৮ রানের লড়াকু স্কোর এনে দেন। ডু প্লেসিস ৭৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২টি উইকেট নেন আরাফাত সানি। ৩ ওভারে তিনি খরচ করেন ১৯ রান।
১৪৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৩ রানের মধ্যে তামিম ও সৌম্যের উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টিম টাইগার্স। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিক সাকিবের ৩৭ রানের জুটি প্রত্যাশার পারদ কিছুটা চড়িয়ে ছিলো টাইগার ক্রিকেট ভক্তদের মনে। তবে মাত্র ৭ রানের ব্যাবধানে মুশফিক-সাব্বির ও নাসির ফিরে গেলে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ।
বিপর্যয়ের মুখে একাই বুক চিতিয়ে লড়াই করে যান সাকিব আল হাসান। দলীয় ৭১ রানে সাকিব ডেভিড উইসিস বলে পারনেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেলে জয়ের বন্দর থেকে ছিটকে পড়ে ম্যাশ বাহিনী।
শেষ পর্যন্ত ১৮.৫ ওভারে মাশরাফি-সোহাগ গাজী-লিটন দাস ও মুস্তাফিজুর রহমান ফিরে গেলে ৯৬ রানেই শেষ হয় বাংলাদেশের ইনিংস। ৫২ রানের জয় পায় সাউথ আফ্রিকা।