আবুধাবির উইকেটের আচরণ দেখে মনে হয়নি বোলারদের জন্য তেমন সুবিধা আছে। এমন সারফেসে ইংল্যান্ডকে মাত্র ১২৫ রানের লক্ষ্য দিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
মূল ব্যাটারদের অসহায় আত্মসমর্পণে সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ তুলেছে ১২৪ রান। শেষে নাসুম আহমেদের ক্যামিও ইনিংসে বলে চেয়ে বেশি রান তুলতে পারে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের দল।
বাংলাদেশ ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান আসে ১৯তম ওভারে। আদিল রশিদের করা ওভারটিতে ১৭ রান আসে। নাসুম দুটি ছয় ও একটি চার মারেন লেগ স্পিনারকে। শেষ পর্যন্ত ৯ বলে ১৯ রানে ফেরেন এ বাঁহাতি।
বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন মুশফিকুর রহিম। টপঅর্ডারের প্রথম তিন ব্যাটার পৌঁছাতে পারেননি দুই অঙ্কে। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১৯ রান।
এমনিতেই দলের ব্যাটিং ভালো হচ্ছি না, তার মাঝ আক্ষেপ বাড়ায় আফিফ হোসেন ধ্রুবর রান আউট। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ২ রানের কল করেছিলেন। তাতে সাড়া দিতে গিয়ে আফিফ হন রান আউট। বলের দিকে তাকিয়ে দৌড় দিয়ে পরে আর ফিরে আসতে পারেননি।
প্রথম ওভারে মঈন আলীর স্পিনে ব্যাক-টু-ব্যাক বাউন্ডারিতে ভালো শুরুর আভাস দিয়েছিলেন লিটন দাস। ইংলিশ অফস্পিনারের দ্বিতীয় ওভারে ফিরতে হয় লিটনকে (৯)। পরের বলে বাজে শটে ক্যাচ তুলে দেন নাঈম শেখও (৫)।
১৪ রান তুলতেই দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। শুরুর চাপ থেকে আর বের হতে পারেনি টাইগাররা। মুশফিকের সামনে সুযোগ ছিল, কিন্তু রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে বিসর্জন দেন নিজের উইকেট।
টাইমাল মিলস তিনটি, মঈন আলী ও লিয়াম লিভিংস্টন নেন দুটি করে উইকেট। ক্রিস ওকস নিয়েছেন একটি উইকেট।