চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

ব্যাংক ডাকা‌তি‌তে ব্যবহার হয় নত‌ুন ধর‌ণের বোমা, অত্যাধু‌নিক গ্রে‌নেড

সাভারের আশুলিয়ায় ব্যাংক ডাকাতির সঙ্গে জড়িত আরো দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে, বিপুল পরিমাণ বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং দেশীয় অস্ত্র। পুলিশ বলছে, ডাকাতরা নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের সদস্য।

সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া বাজারে মঙ্গলবার বেলা আড়াইটায় বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের শাখায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের গুলিতে ব্যাংকের ভেতরেই মারা যান ব্যাংক ব্যবস্থাপক, নিরাপত্তাকর্মী, গ্রাহকসহ ৩ জন। জনতা প্রতিরোধ গড়ে তুললে ডাকাতদের গুলিতে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়।

সেসময় গণপিটুনিতে মারা যায় এক ডাকাত। ধরা পড়ে ডাকাত বোরহান ও সাইফুল। তাদের দেয়া তথ্যে বৃহস্পতিবার রাতে কলমা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাবুল সর্দার ও মিন্টু প্রধান নামের দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় বোমা তৈরির সরঞ্জাম, দেশীয় অস্ত্র, পিস্তলের ম্যাগজিন, জিহাদী বই ও ম্যাগাজিন।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি নুরুজ্জামান বলেন, বোমা তৈরির মেশিনও উদ্ধার করা হয়েছে। যে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে ওই রক্তমাখা ছুরি পাওয়া গেছে। হামলায় যে বোমাগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেগুলো সম্পূর্ণই নতুন।

বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, এই বোমা তারা আগে দেখেননি। গ্রেনেডগুলোও অত্যাধুনিক। এসবই দেশের বাইরে থেকে আনা।

ডাকাতরা সকলেই জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। শুধু ডাকাতি নয়, দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ঘোলাটে করাই ছিলো তাদের উদ্দেশ্য। দেশে যে শান্তিশৃঙ্খলা বিরাজ করছে সেটাকে অশান্ত করাও তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে বলে মনে কর‌ছেন ডিআই‌জি।

ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় নেপথ্যে আর যারা আছে তা‌দেরও খুঁ‌জে বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।