চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ঋণে অনিয়ম: এক শাখায় ৩ বছরের বেশি থাকতে পারবেন না ব্যাংক কর্মকর্তারা

ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতি রোধে কঠোর হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় এখন থেকে ব্যাংক কর্মকর্তারা এক শাখায় ৩ বছরের বেশি সময় থাকতে পারবেন না।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে তা দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো হয়েছে।

ওই নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, জাল-জালিয়াতি রোধে শাখার ব্যবস্থাপক ও কর্মকর্তাদের ৩ বছর পর এক শাখা থেকে অন্য শাখায় বদলি করতে হবে।

২০০৪ সালে ব্যাংক কর্মকর্তাদের ২ থেকে ৩ বছর পর পর বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে প্রকাশিত এই সার্কুলারের মাধ্যমে সেই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিভাগ এর ১৯/১০/২০০৪ তারিখের পত্র নং- মালপ্রবি(বিশেষ) ২৬৭/২০০৪-৩৯১৮-৩৯৬৬ অনুযায়ী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ শাখার সর্বস্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ২ বা ৩ বছর পর পর বদলী এবং প্রত্যেক কর্মকর্তাকে বছরে ন্যূনতম একনাগাড়ে ১৫ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটি প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানায়, ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপকসহ শাখা ও প্রধান কার্যালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের (ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হতে উপব্যবস্থাপনা পরিচালক বা সমমর্যাদার কর্মকর্তা এবং বিশেষ কর্মোদ্দেশ্যে বা বিশেষজ্ঞ হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া) ৩ বছর পর পর বদলির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় আরও বলা হয়, শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিবছর একবার নিরবচ্ছিন্নভাবে ১০ দিনের বাধ্যতামূলক ছুটি দিতে হবে। তবে সরকারি নীতিমালা বা ব্যাংকের নিজস্ব নীতিমালার আলোকে শ্রান্তি বিনোদন ছুটি কার্যকর রয়েছে এরূপ ব্যাংকসমূহের শাখায় কর্মরত কোনও কর্মকর্তা-কর্মচারী যে বছর শ্রান্তি বিনোদন ছুটি ভোগ করবেন, সে বছর তিনি বাধ্যতামূলক ছুটি পাবেন না।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছে, শাখায় কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারী শ্রান্তি বিনোদন ছুটি বা বাধ্যতামূলক ছুটি ভোগকালে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীর অব্যবহিত পূর্বের এক বছরের সম্পাদিত দাপ্তরিক কার্যক্রম নিজ নিজ শাখা হতে অভ্যন্তরীণভাবে পরীক্ষা করে সন্দেহজনক কোনও কার্যক্রম পরিলক্ষিত হলে এবিষয়ে ব্যাংকের মানবসম্পদ বিভাগে প্রতিবেদন দাখিল করবে। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে মানবসম্পদ বিভাগ।