চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

ব্যাংকিং খাতে সংস্কার চান অর্থনীতিবিদরা

দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত হতে বাধ্য করার সময় এসে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। ব্যাংকিং নিয়ে এই আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন বলেছেন, রাজনৈতিক চাপের দোহাই দিয়ে অনিয়ম হজম করা চলবে না। তদবির ও চাপ এড়িয়ে কাজ করার মতো দৃঢ়তা থাকতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের।

ব্র্যাক সেন্টার ইনে ঢাকা ফোরামের আয়োজনে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার এবং সুশাসন নিয়ে গোলটেবিল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। মূল প্রবন্ধে জনতা ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি, কু-ঋণ, পরিচালনা পর্ষদের স্বেচ্ছাচারিতা, অতিরিক্ত তারল্যসহ নানা বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য তুলে ধরেন।

ব্যাংকিং খাতের সাম্প্রতিক সময়ের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে নেয়া ব্যবস্থার কথা তুলে ধরে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ বিরূপাক্ষ পাল বলেন, হয়তো দশ বছর আগে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইলেকট্রনিক বা ডিজিটালাইজেশনের দিক থেকে অতোটা কর্মক্ষম ছিলো না। কিন্তু বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক দেশের সবচেয়ে ডিজিটাইজড প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। আর একটি প্রতিষ্ঠানকে এভাবে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ করা হলে তার কর্মকাণ্ড তাৎক্ষণিকভাবেই অনেক বেশি স্বচ্ছ হয়ে যায়।

ব্যাংকিং খাতে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংককে আরো কর্তৃত্ব দেয়ার সুপারিশ করেন সাবেক অর্থ উপদেষ্টা ড. এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম। তিনি বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থার অন্যতম সমস্যা হলো এখানে ব্যাংকের সংখ্যা খুব বেশি। তাই দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত হতে বাধ্য করাটা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।

তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে নয়, আসলেই মানুষ ব্যাকিং সুবিধা পাচ্ছেন কিনা তা খতিয়ে দেখার পরামর্শ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, রাজনীতিকদের এড়িয়ে চলা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই তাদের বোঝাতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাজ পুরোপুরি কৌশলগত। সেখানে যেনো কোনো রাজনৈতিক বা বিশেষ গোষ্ঠী হস্তক্ষেপ না করে।

সাবেক গভর্নর অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এবং ব্যাংকের গভর্নর শুধু রাজনীতিক নয়, লবিস্টদের পক্ষ থেকেও সবসময় খুব চাপের মধ্যে থাকেন। সেসব থেকে বেরিয়ে ব্যাংকে এখন একটি শক্ত অবস্থান নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

কেবল সেমিনার, টকশো করেই দায়িত্ব শেষ না করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনার ধারাবাহিকতা ধরে রাখার কথা বলেন আলোচকরা।