একটি দেশের প্রধান অর্থনৈতিক চালিকা শক্তি ব্যাংক। বৃহস্পতিবার সকল বাণিজ্যিক ব্যাংককে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক শঙ্কা প্রকাশ করেছে, ব্যাংকগুলোতে যেকোনও সময় সাইবার হামলা হতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস ডিপার্টমেন্ট এ সতর্ক বার্তা জারি করে তা দেশের সব বাণিজিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠিয়েছে।
সম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে ব্যাংকিং ব্যবস্থায় হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বিপুল অর্থ আত্মসাতের খবর প্রকাশ হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সাইবার অপরাধীরা পেমেন্ট সিস্টেমস হ্যাক করে দেশের ভেতরে এবং বিদেশে থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়। উদীয়মান অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এ ধরনের হুমকিতে রয়েছে।
এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবারও বড় ধরনের সাইবার হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রয়োজনীয় সাইবার সিকিউরিটি টিম না থাকায় তথ্য চুরির ঘটনা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে দেরি হচ্ছে বলা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. ইউনুসুর রহমানকে লেখা এক চিঠিতে এই আশঙ্কার কথা তুলে ধরেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। গত ৯ আগস্ট তিনি এই চিঠিটি অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে পাঠিয়েছেন।
চিঠিতে তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় বলেছে, চীন, জাপান, কাজাখস্তান ও রোমানিয়ার হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের গুরুত্বপূর্ণ কম্পিউটারগুলোতে ম্যালওয়্যার স্থাপন করে অনবরত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। এতে সতর্ক করে বলা হয়, প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা না নিলে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার বসিয়ে এভাবে তথ্য চুরির বিষয়টি ধরা পড়েছে তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাইবার সেন্সরে। মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সতর্ক করা হলেও প্রয়োজনীয় সাইবার সিকিউরিটি টিম না থাকার কারণে তথ্য চুরির ঘটনা বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া সম্ভব হচ্ছে না বলেও অর্থ মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।
এ অবস্থায় সম্ভাব্য সাইবার আক্রমণের ঝুঁকি মোকাবিলায় ব্যাংকের তথ্য প্রযুক্তি ব্যবস্থার নিরাপত্তা বৃদ্ধি ও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে নিবিড় তদারকি নিশ্চিতের মাধ্যমে প্রয়োজন কার্যকর প্রস্তুতি। আমাদের আশাবাদ এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সকলে সচেতন আছেন।