সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সহ মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে পালিত হয়েছে পবিত্র ঈদুল ফিতর।
ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। একমাস সিয়াম সাধনার পর ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য ঈদ নিয়ে আসে অনাবিল আনন্দ। প্রতিবছর ঈদ আসলে প্রচুর সংখ্যক প্রবাসী ঈদের আনন্দ পরিবার-পরিজন আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে ভাগাভাগি করার জন্য দেশে ফিরে যান। আবার যেসব প্রবাসীরা দেশে ফিরে যেতে পারেন না তারাও প্রবাসে কর্মরত আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে ভাগাভাগি করে পালন করেন ঈদের এ দিনটি।
যে যার মতো করে সামর্থ্য অনুযায়ী নতুন জামা কাপড়, বন্ধুদের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া, একে অপরের সাথে কোলাকুলি, ধনী-গরিবের ব্যবধান ভুলে একে অপরের সাথে মেতে উঠেন ঈদ আনন্দে।
কিন্তু মহামারী করোনা ভাইরাস এর কারণে সৌদি আরব জুড়ে লকডাউন কারফিউ অন্যদিকে সৌদি ওলামা কাউন্সিলের প্রধান গ্র্যান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ আলা শেখ এর নেতৃত্বে শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম গণের ফতোয়া পূর্ণাঙ্গভাবে অনুসরণ করে বাড়িতে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় সৌদি নাগরিক ও প্রবাসীরা।
তবে সীমিত পরিসরে মক্কার মসজিদুল হারাম, মদিনা মসজিদে নববীতে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে সৌদি আরবে আজ পর্যন্ত ১৪০ জন প্রবাসী বাংলাদেশীর মৃত্যুবরণ করায় প্রবাসীরা অনেকটা আতঙ্কের মধ্যে উদযাপন করছেন এবারের ঈদ।
সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশিরা দীর্ঘদিন যাবৎ কর্মহীন, অন্যদিকে পরিবার-পরিজন ছাড়া প্রবাসীদের মনে ছিল না ঈদের আমেজ।
সৌদি আরবের যেদিকেই চোখ যায় শুনশান নিরবতা গতবছরও যেখানে ঈদের জামাতের পর তিল ধারণের ঠাঁই থাকতো না সেসব এলাকাগুলো জনশূন্য দেখা গেছে।
কঠোর নিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি মানুষের আস্থা থেকে এই অনুশাসন মেনে চলছে বলে জানিয়েছেন দীর্ঘদিন যাবৎ সৌদিআরবে বসবাসকারী প্রবাসী ফার্নিচার ব্যবসায়ী শামিম ভুইয়া।
ঘরের মধ্যে ঈদের জামাত আদায়, দেশে প্রিয়জনদের সাথে টেলিফোনে কথা বলা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও বাংলাদেশের টিভি চ্যানেল গুলোর ঈদ আয়োজন একমাত্র সঙ্গী ছিল এসব প্রবাসীদের। প্রবাসীরা পরিবার-পরিজনদের দেশে রেখে দীর্ঘদিন যাবৎ বিদেশ অবস্থান করলেও নিরানন্দ এবং ব্যতিক্রমধর্মী এমন ঈদ আগে পালন করেননি বলে জানিয়েছেন সৌদি প্রবাসীরা।