কারো ব্যক্তিগত দুর্নীতির দায় নেবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয় কিংবা অধিদপ্তর। দুর্নীতির দায়ে দুই কর্মচারি গ্রেফতার হওয়ার পর শীর্ষ কর্মকর্তারা বলছেন, যারা দুর্নীতি করেছে কলঙ্কের দায় তাদেরকেই বহন করতে হবে। নিম্নপদস্থ কর্মচারি হয়েও তাদের অবৈধ সম্পদের পাহাড়ে বিব্রত মন্ত্রণালয়।
আটক দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, প্রশ্নপত্র ফাঁস, জিপিএ ফাইভ বিক্রি, লেকহেড গ্রামার স্কুল চালুর ব্যবস্থা করা, মন্ত্রণালয় থেকে ভুয়া সনদ সত্যায়িত করা, দুর্নীতিগ্রস্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের অনুমতি পাইয়ে দেয়া এবং টাকার বিনিময়ে সরকারি কলেজ ও স্কুল শিক্ষকদের পদোন্নতি ও বদলির ব্যবস্থা করা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে যারা আটক হয়েছে, আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
দুর্নীতির অভিযোগে রোববার আটক হন শিক্ষামন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মোতালেব হোসেন এবং উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন। তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়েও এই দু’জনের ঢাকায় নিজস্ব বাড়ি, গাড়িসহ বিপুল সম্পদ রয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আয়ের সঙ্গে সম্পদের পাহাড় সমান ব্যবধান থাকায় বিব্রত মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বলছে, এই দায় বহন করতে হবে অভিযুক্ত দু’জনকেই।
দুর্নীতির অভিযোগে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা দুর্নীতিবাজদের জন্য একটা বার্তা বলে উল্লেখ করেন মহাপরিচালক।
দেখুন নিচের ভিডিও রিপোর্টটি: