রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলার ৭ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও কোনোভাবে খোঁজ মিলছে না সেই উত্তম বড়ুয়ার। অথচ এই উত্তম বড়ুয়ার ফেসবুকেই শেয়ার করা হয়েছিল বির্তকিত একটি ছবি। আর সেই ছবির কারণে পবিত্র কোরআন শরীফ অবমাননার অভিযোগে সংঘটিত হয় রামুর তাণ্ডব।
উত্তম বড়ুয়া কোথায় এটা যেমন জানেন না তার স্ত্রীসহ অন্যরা, তেমনি জানে না পুলিশও। তবে উত্তম রামুর ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলার প্রধান আসামি।
২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রামুতে সংঘটিত ঘটনার পর থেকে উত্তম নিখোঁজ থাকার কারণে চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন তার স্ত্রী রিতা বড়ুয়া।
তিনি জানিয়েছেন, তার ছেলে আদিত্য বড়ুয়াকে নিয়ে তিনি চরম অসহায় দিন যাপন করছেন। ঘটনার পর থেকে স্বামী সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না।
জানা যায়, উত্তম বড়ুয়া রামু সদরের চেরাংঘাটা গ্রামের সুদত্ত বড়ুয়ার ছেলে। তিনি রামু সাব রেজিস্ট্রি অফিসে দলিল লেখক ছিলেন। তার স্ত্রী রিতা বড়ুয়া ও ছেলে আদিত্য বড়ুয়া বর্তমানে নিজ পিতার বাড়িতে থাকেন।
উত্তমের শাশুড়ি বাসু বড়ুয়া জানিয়েছেন, মেয়ে এবং নাতিকে নিয়ে ভোগান্তিতে রয়েছেন। তিনি উত্তমকে যে কোনোভাবে ফেরত আনার দাবি জানিয়েছেন।
উত্তমের সামাজিক নিরাপত্তা ও তার সন্তানের জন্য মানবিক সহায়তা চেয়েছেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি (যুব)-এর সভাপতি সুরেশ বড়ুয়া। তিনি জানান, উত্তমকে ফেরত আনা জরুরী।
রামু রাইটার্স ক্লাবের উপদেষ্টা দর্পন বড়ুয়া জানান, সামাজিকভাবে উত্তম এর পরিবারকে বেঁচে রাখা জরুরী। ঘটনার জন্য উত্তম দায়ী নাকি দায়ী নন এটার বিচার করবে আদালত। তবে অবুঝ সন্তানটি যেন বেঁচে থাকে।
আর উত্তমের ছেলে আদিত্যকে তার পিতা কোথায় জানতে চাওয়া হলে সে এতটুকুই কেবল বলেছে ‘বাবাকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে।’
কিন্তু পুলিশ জানে না উত্তম কোথায়।