বুধবার জাতীয় দলের ক্যাম্প শুরুর দিনই আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করেছে বিসিবির অবৈধ বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটি। চিহ্নিত বোলারদের নিয়েই চলবে তাদের শুদ্ধি মিশন।
সদ্যসমাপ্ত ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছেন সবমিলিয়ে ১১ বোলার। ওই ১১ জনের মধ্যে দুজনকে নিয়ে কাজ শুরু করেছে বিসিবির বোলিং রিভিউ কমিটি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাসকিন আহমেদ ও আরাফাত সানী অবৈধ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে নিষিদ্ধ হওয়ার পর এবারের ঘরোয়া আসরে বোলারদের অ্যাকশন নিয়ে বেশ সতর্ক অবস্থান নেয় বিসিবি।
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের অমিত কুমার নয়ন ও মোহামেডানের নাঈম ইসলাম জুনিয়রকে নিয়ে কাজ শুরু করবে রিভিউ কমিটি।
রিভিউ কমিটির পর্যবেক্ষক নাসির আহমেদ নাসু বলেন, সন্দেহজনক বোলারদের বোলিং অ্যাকশন দেখতে ছয় দিক থেকে ছয়টি ক্যামেরা আমরা ব্যবহার করেছি। তাদের বোলিং যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। এর পর আমরা পর্যবেক্ষণ করব।
রিভিউ কমিটির আরেক পর্যবেক্ষক ওমর খালেদ রুমি বলেন, ওদের নিদিষ্ট কোনো বলে সমস্যা আছে কিনা সেটা দেখতে হবে, এখনি বলা যাচ্ছে না কার কি সমস্যা। সেগুলো জানতে আরো কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
আইসিসির নতুন নিয়ম অনুযায়ী একজন বোলারকে বোলিং অ্যাকশনের শুদ্ধতা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন রকম বোলিং করতে হয়। বিসিবি’র বোলিং রিভিউ কমিটিও সেই নিয়ম অনুসরণ করবে বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, এখানে অ্যাকশন সংশোধনে ব্যর্থ হবেন যারা, তাদের ওপর কঠোর হবে বিসিবি। মূলত প্রথমে রিপোর্টেড হওয়ার পর আমরা যাদের নিয়ে কাজ করবো, তাদের অ্যাকশন যদি শুধরে যায় তাহলে তাদের খেলার সুযোগ দেওয়া হবে। ১২০ দিন তারা খেলার সুযোগ পাবে।
“এর মধ্যে যদি আবারও রিপোর্টেড হয়, পর্যালোচনার জন্য আমাদের কাছে আসতে হবে। তখন আমরা তাদের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিব। আমরা চাই না, একজন অবৈধ বোলার দীর্ঘদিন ধরে খেলা চালিয়ে যাক। সেই সুযোগ আমরা ক্রিকেটারদের দেব না।”