বোলারদের আরেকটু ঝালিয়ে নিতে টস জিতে আগে বোলিং। সেই বোলিং অনুশীলনটা স্বস্তির সঙ্গে ‘কিন্তু’ রেখে শেষ হলো। শুরুতে চাপ সৃষ্টি করেও ভারতকে ৩২৪’র আগে আটকানো যায়নি।
মোস্তাফিজুর রহমান এবং রুবেল হোসেন যথারীতি ভালো শুরু করেন। রুবেল নিজের প্রথম ওভারে রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে শুরু করেন। তার করা অফস্টাম্পের বাইরের বলে পাঞ্চ করতে যান রোহিত (১)। শর্ট অব লেন্থের বল ছিল। সেই সঙ্গে কিছুটা স্লোয়ার। ভেতরের কানা নিয়ে বল স্টাম্প খেয়ে নেয়। এরপর মোস্তাফিজ ঝলক।
ফিজের গুড লেন্থের বলে রাহানে (১১) ব্যাট দিতে যেয়ে ভড়কে যান। চোখ-মুখে এমন একটা ভাব আনেন, যেন বিশ্বাসই করতে পারেননি এভাবেও আউট হওয়া যায়।
মোস্তাফিজ শেষ পর্যন্ত ৮ ওভার বল করে ৫৩ রান দিয়ে ১ উইকেট নিয়েছেন। ৯ ওভারে ৩ উইকেট নিতে রুবেলের খরচ ৫০ রান।
‘কিন্তু’র বড় অংশ জুড়ে থাকছে তাসকিনের নাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮০ রান খরচ করেছিলেন। এদিনও নিজের চেনা ছন্দে ফিরতে পারলেন না। ৬ ওভারে ৪৫ রান দিয়ে উইকেটহীন।
ড্রেসিরুংমে বসে মিরাজের বল দেখে স্বস্তি পেতে পারেন নিয়মিত অধিনায়ক মাশরাফি। স্পিনপ্রেমী ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা এদিন মিরাজকে ঠিকমতো খেলতে পারেননি। ৯ ওভারে তরুণ স্পিনার রান দিয়েছেন ৩৯, উইকেট নেই।
সাকিব আট বোলারকে ব্যবহার করেন। নিজে ৩ ওভারে ২৩ রান দিয়ে আর আক্রমণে আসেননি। সানজামুল ইসলাম দুই উইকেট নিয়েছেন ৭৪ রানের বিনিময়ে। মোসাদ্দেক ৫ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৯ রান দিয়ে উইকেটহীন।
ভারত বেরিয়ে গেছে মূলত তৃতীয় উইকেট জুটিতে। ১৬.৩ ওভার ব্যাট করেন শেখর ধাওয়ান (৬০) এবং দীনেশ কার্তিক (৯৪)। এই সময়ে দুজনে ১০০ রান যোগ করেন। সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে থাকতে কার্তিক ‘অবসর’ নেন। এরপর ষষ্ট উইকেটের জুটিটাও বাংলাদেশকে বেশ ভুগিয়েছে। এই জুটি থেকে আসে ৮৬ রান। হার্দিক পাণ্ডে ৫৪ বলে ৮০ করে শেষ দিকে রানটা বাড়িয়ে নেন।