ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর টি-টুয়েন্টি সিরিজও বগলদাবা করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে অলিখিত ফাইনালে রূপ নেয়া সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে লিটন-তামিম-সাকিব-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটিং দৃঢ়তায় ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮৪ রানের বড় সংগ্রহ পেয়েছে বাংলাদেশ। বাকি কাজটা এখন টাইগার বোলারদের।
রোববার সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭১ রান করে সমতা (১-১) এনেছিল বাংলাদেশ। পেয়েছিল ১২ রানের দারুণ জয়। তৃতীয় ম্যাচে আগের সংগ্রহ ছাড়িয়ে গেছে বাংলাদেশ। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে এটিই টাইগারদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
২০১২ সালে মিরপুরে দলটির বিপক্ষে পরে ব্যাট করে ১৭৯ রান তুলেছিল বাংলাদেশ। তবে সে ম্যাচে হেরেছিল স্বাগতিকরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের দেয়া ১৯৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভার খেলে এক উইকেট হারিয়ে ১৭৯ রান তুলতে পেরেছিল বাংলাদেশ।
ফ্লোরিডার লডারহিলে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই আগ্রাসন দেখান তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দুই ওপেনার মিলে মাত্র ৩.৪ ওভারে তুলে নেন ৫০ রান। টি-টুয়েন্টিতে এটিই বাংলাদেশের দ্রুততম দলীয় ফিফটি।
পাওয়ার-প্লে’র ৬ ওভারের মধ্যেই দুই উইকেট হারালে পরে রানের গতি কিছুটা কমে আসে। শেষটায় মাহমুদউল্লাহ ঝড় তুললে বড় সংগ্রহ নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।
২৪ বলে ফিফটি পাওয়া লিটন দাস ৬১ রান করে থামেন। ৩২ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চার ও ৩টি ছয়ের মার। সাকিব আল হাসান ২৪, তামিম ইকবাল ২১ ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ করেন ১৭ রান।
প্রথম দুই ম্যাচে অ্যাশলে নার্সের বোলিংয়ের সামনে বোতলবন্দী ছিল বাংলাদেশের ওপেনাররা। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচে সেই নার্সের ওভার থেকেই চার-ছক্কার ঝড় শুরু করেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল।
অফস্পিনারের প্রথম ওভার থেকেই তোলেন ১৭ রান।
তামিম ১৩ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন ব্র্যাথওয়েটের বলে ক্যাচ দিয়ে। এ বাঁহাতি ওপেনার আউট হওয়ার পরের ওভারেই কিমো পলের স্লোয়ারে বাউন্ডারি সীমানা ক্যাচ দেন তিনে নামা সৌম্য সরকার। ৪ বল খেলে ৫ রান করেন এ বাঁহাতি।
পর পর দুই ওভারে উইকেট হারানোর পর রানের গতি কিছুটা কমে আসে। দলীয় ১০০ রান আসে ১০.৩ ওভারে। তার আগেই অবশ্য মুশফিকুর রহিমের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৯৭ রানের মাথায় ইনসুইংয়ের মুখে কাট করতে গিয়ে ব্র্যাথওয়েটের দ্বিতীয় শিকারে পরিনত হন মুশফিক।
ক্যাচ তুলে দেন উইকেটরক্ষক রামদিনের গ্লাভসে। এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান ১৪ বল খেলে করেন ১২ রান। মুশফিকের ফেরার পর পরই লিটন ক্যাচ তুলে দেন কেসরিক উইলিয়ামসের বলে। দলীয় রান তখন ১১ ওভারে ১০২। সেখান থেকে প্রত্যায়ী এক জুটি গড়েন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ। ৪৪ রানের জুটিটি ভাঙে সাকিব ২৪ করে কিমো পলের দ্বিতীয় শিকার হলে।
দলের রান যখন দেড়শ ছুঁইছুঁই (১৪৯) তখন শুরু হয় বৃষ্টি। ৩০ মিনিট খেলা বন্ধ থাকলেও ওভার কমেনি। বিরতির পর ব্যাটিংয়ে নেমে শেষ ২১ বলে মাহমুদউল্লাহ ও আরিফুল মিলে যোগ করেন আরও ৩৫ রান।
মাহমুদউল্লাহ ২০ বলে ৩২ ও আরিফুল ১৬ বলে ১৮ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন। এই ম্যাচ জিতলে বিদেশের মাটিতে দ্বিতীয়বার টি-টুয়েন্টি সিরিজ জয়ের স্বাদ পাবে বাংলাদেশ। ২০১২ সালে সবশেষ সিরিজ জিতেছিল আয়ারল্যান্ড সফরে গিয়ে।