যুক্তরাজ্যে আবার ফিরে আসতে ইচ্ছুক এক আইএস বধূ সাফাই গাইলেন ম্যানচেস্টার এরিনা বোমা হামলার পক্ষে।
২০১৫ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে শামীমা বেগম সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে জীবন কাটাতে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে যুক্তরাজ্য ছেড়ে চলে যান আরো দুই বন্ধুর সঙ্গে।
সেখানে তিনি এক আইএস যোদ্ধাকে বিয়ে করেন এবং তিনটি সন্তানের জন্ম দেন। তার মধ্যে দুটি শিশু জন্মের পরই মারা যায় এবং তৃতীয় ছেলেটি বেঁচে যায়।
সিরিয়ার শরণার্থী ক্যাম্পে বসবাসরত শামীমা বর্তমানে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান। আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী তাকে আবার ফিরিয়ে নেয়া বাধ্যতামূলক।
বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ২০১৭ সালে ২২ জন নিহত হওয়া ম্যানচেস্টার এরিনা বোমা হামলার বিষয়ে তিনি বলেন: সেটা সিরিয়ান লোকদের উপর আক্রমণের সঙ্গেই তুলনাযোগ্য। ‘আমার মনে হয় সেটা ভুল যেখানে নিস্পাপ মানুষ মারা যায়। যে তোমার সঙ্গে যুদ্ধ করছে তাকে হত্যা করা এক জিনিস, সেটা আত্মরক্ষা। কিন্তু নারী ও শিশুদের হত্যা…বাঘুজের নারী ও শিশুদের মতো অন্যরা যারা অযথা হত্যার শিকার হচ্ছে, বোমা হামলায়। সেটা সত্যিকার অর্থেই দুই দিকের বিষয়।
এই আইএস বধূর আবেগ ব্রিটিশ ব্রডকাস্টার পিয়ার্স মরগানকে রাগান্বিত করেছে বেশ প্রবলভাবেই। তিনি বলেন, সে একজন বিশ্বাসঘাতক ছিল। তাকে আর যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেয়া ঠিক হবে না।
ডেইলি মেইলে লেখা এক মতামতে তিনি বলেন, আমার ভাষার জন্য দুঃখিত। কিন্তু কখনো কখনো সেটা পুরোপুরি সত্যি। শামীমা বা অন্য আরেক আইএস বধূ মার্কিন নারী হোডা মুথানার জন্য কোনো দরদ নেই আমার।
এই দুজনের জন্য এবং এমন আরো অনেকের জন্য আমার বার্তা হচ্ছে, তোমরা তোমাদের আইএস স্বামীর জন্য বিছানা তৈরি করেছো, এখন তাদের সঙ্গেই জাহান্নামে পচো।