ইকরাম চৌধুরী: জাটকা রক্ষায় চাঁদপুরের অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকায় বাংলা বর্ষবরণকে সামনে রেখে চাঁদপুরের ঘাটগুলোতে নেই বেচাকেনার ব্যস্ততা। মাছ ঘাটগুলোতে হাক-ডাক নেই। সংকটের কারণে ইলিশের দামও চড়া।
বৈশাখের বাজারে ব্যবসায়ী ও হিমাগার মালিকদের মজুত রাখা পুরনো ইলিশই সম্বল। জাটকা রক্ষায় পদ্মা-মেঘনার অভয়াশ্রমগুলোতে মার্চ ও এপ্রিল এই দুইমাস ইলিশসহ সব ধরণের মাছ ধরা বন্ধ।
গত বছর মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি হলেও এ বছর তা বন্ধ। হিমাগার মালিক ও ব্যবসায়ীরা কিছু ইলিশ মজুদ করলেও বিক্রি হবে কিনা সে আশংকায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
চাঁদপুরের খন্দকার ফিশ প্রসেসিং এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল মালেক খন্দকার বিক্রি নিয়ে উদ্বেগের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন ইলিশের চড়া মূল্য ক্রেতাদের নিরুৎসাহিত করতে পারে।
চাঁদপুর সি ফুড কর্পেরেশনরে ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহীদুর রহমান চৌধুরী এ বিষয়ে বলেন, ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় স্বাভাবিক নিয়মেই এবার বর্ষবরণে অত্যধিক দামে ইলিশ কিনতে হবে।
এদিকে পহেলা বৈশাখকে সামনে রেখে বাজারে ইলিশের স্বল্পতা ও দাম চড়া হওয়ায় হতাশ ক্রেতাসাধারণ।
এদিকে জাটকা রক্ষা কর্মসূচী সফল করতে তৎপর রয়েছে কোস্টগার্ড। চাঁদপুরের কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার বিএন লেঃ এম হাবিবুর রহমান বলেন, তারা জাটকা ধরা বন্ধে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করছেন।
চাঁদপুরের দুটি হিমাগারের মধ্যে একটিতে ৬০-৭০ টন ইলিশ মজুদ থাকলেও অন্য আরেকটি হিমাগারে ইলিশের উল্লেখযোগ্য মজুদ নেই।