এসে গেছে বৈশাখ। পুরনো বছরের সমস্ত গ্লানি দূরে ঠেলে নতুন বছরে নিজেকে রাঙিয়ে নেয়ার দিন। সাধারণত এই দিনটিতে নারী-পুরুষ, শিশু, বৃদ্ধ নিজেকে রাঙিয়ে নেয়। বৈশাখ মানে মাথার উপরে কাঠফাটা রোদ তার সঙ্গে প্রচণ্ড গরম। কখনো আবার আকাশ ভারি হয়ে নামছে একঝলক বৃষ্টি। আসলে বৈশাখে রোদ আর বৃষ্টির সর্ম্পক বোঝা খুব দায়। তাই বৈশাখের প্রথম দিনে নিজেকে সাজাতে বাড়তি পরিকল্পনা রাখতে হবে।
কারণ বিশেষ দিনে বিশেষ মানুষের সঙ্গে বের হয়ে যদি নিজেকে সম্পূর্ণ মনে না হয় তাহলে দিনটি মাটি হয়ে যাবে। বৈশাখের সকাল বেলা স্নিগ্ধ সাজে নিজেকে সাজাতে পারেন। দিনের বেলায় সাজটাকে একটু পাল্টাতে হবে। কারণ বৈশাখের দুপুর মানে কাটফাটা রোদ। তাই হালকা মেকআপ নিজেকে সাজিয়ে বাইরে বের হবেন। চোখে গাঢ় শেড না দিয়ে নিউট্রাল শেড দিতে পারেন। ঠোঁটে লাল রঙে রাঙাতে পারেন।
যারা বৈশাখে হৈচৈ করে বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে চান তারা অবশ্যই কুর্তা, ফতুয়া, স্কার্ট ও ধুতি-পায়জামার সঙ্গে চুল সামনে একটু পাফ করে নিয়ে পনিটেল বা স্টাইলিশ কোনো বেনি করে নিতে পারেন। নিজেকে সবার কাছে একটু অন্য রকম উপস্থাপন করতে চাইলে রকমারি গয়নাও পড়তে পারেন।
নতুন দিন আর নারীদের মাথায় ফুল থাকবে না তা কি হয় ? তবে এমন ফুল লাগাবেনা যা দ্রুত নেতিয়ে যায়। যারা শাড়ি ছাড়া কোন অপশন রাখছেন না তারা হালকা শাড়ির সঙ্গে পড়তে পারেন গয়না আর তার সঙ্গে একটু ভারি সাজ।
তবে শাড়ি যদি হয় ভারি সেক্ষেত্রে হালকা মেকআপ করাটাই ভালো। বৈশাখের দিনের অত্যাচার শেষে রাতের সাজটা একটু আলাদা হতেই পারে। রাতের মেকআপে বেস ব্যবহার দিনের চেয়ে ভারী হতে পারে। ঠোঁটে পোশাকের রঙের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে লাল, ওয়াইন রঙ বা বেরি রঙ বেছে নেয়া যেতে পারে।
এ সময় চোখের শেড গাঢ় হলেও সমস্যা নেই। তবে চোখ অথবা ঠোঁট থেকে একটিকে প্রাধান্য দেয়াই ভালো।