চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে ভুল চিকিৎসায় টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি

দেশের বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে সরকারি হাসাপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের বিভিন্ন কৌশলে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভুল চিকিৎসা দিয়ে টাকা হাতিয়ে নিত একটি দালাল চক্র।

সোমবার রাতে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল), জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও শিশু হাসপাতাল এলাকা থেকে ৬ দালালকে আটক করেছেন র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)।

তারা হলেন, মো. রেজাউল করিম (৩০) মো. মানিক মিয়া (৩৮), মো. বিল্লাল হোসেন (৫০), মোছা. কল্পনা আক্তার (৪০), মোছা. মর্জিনা বেগম (৩৫), মোছা. আজিরন বেগম (৪২)। তাদের প্রত্যেককে ৬ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়াও র‌্যাব-২ এর ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু সেবিকা হাসপাতালের পরিচালক ও ওটি ইনচার্জ ভুয়া ডাক্তার মো. সাইফুল ইসলাম (৩৮) -কে ১ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানা এবং নিন্মমানের সেবা প্রদানসহ নিয়মিত ডাক্তার না থাকায় হাসপাতালের মালিক এম এম শাখাওয়াত হোসেনকে ৪ লাখ টাকা এবং ম্যানেজার মো. মহিবুল্লাহ (৩০)- কে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন।

মঙ্গলবার র‌্যাব-২ এর স্পেশালাইজ ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানির কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করে চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) একটি দালালচক্র আশেপাশে অবস্থান করে। তারা এখানে (পঙ্গু হাসপাতালে) কোনোপ্রকার চিকিৎসা হয় না, ডাক্তার থাকে না, ভর্তি হওয়া রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায় এমন কথা বলে দেশের দূর অঞ্চলের জেলাগুলো থেকে আসা রোগীদের ভয় দেখিয়ে তাদের ভাগিয়ে উন্নত চিকিৎসার আশ্বাসের নামে নামসর্বস্ব বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে। এমনকি ভুয়া ডাক্তার দিয়ে অপারেশন করিয়ে অনেককে চিরতরে পঙ্গুও করে দেয়। এরকম একটি চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি বলেন, দালাল চক্রের প্রায় পাঁচ’শ সদস্য হাসপাতালগুলো ঘিরে দালালি করে থাকে। এ চক্রের সদস্যদের অত্যাচার দিন দিন বেড়েই চলছিল। তারা হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স, অ্যাম্বুলেন্সসহ প্রত্যেকটি স্তরে ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে আসছিল। আশপাশের বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে রোগীর বিনিময়ে ৫ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দালালরা নিয়ে থাকত।