দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। আদালত বার কাউন্সিলকে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীদের সনদ পরীক্ষা করতে বলেছেন। তবে অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলার আইন বিভাগগুলো চললেও এক সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি ভর্তি না করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মালিকানা সংকট, অনিয়ম-দুর্নীতি আর সনদ বাণিজ্যের নানা অভিযোগে হাইকোর্টের রায়ের আলোকে দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় সরকার। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে শুনানি শেষে আদেশের দিনে আইনজীবীদের সনদ পাওয়ার সময়ে বয়স কত হতে পারে এ নিয়ে কথা বলে দুপক্ষ।
এটর্নি জেনারেল বয়স ৩৫ করার পক্ষে মত দিলেও প্রধান বিচারপতি অধস্তন আদালতের বিচারকদের সুযোগ দিতে ৪০ করার পক্ষে যুক্তি দেন। সেসময় নিম্ন আদালত থেকে অবসরে বা চাকরি ছেড়ে দেওয়া বিচারকদের ওকালতি নিয়েও কথা হয়।
পরে দারুল ইহসানসহ অন্যান্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালগুলোর আইন বিভাগ বিষয়ে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। শুনানিতে এটর্নি জেনারেল জানান, আদালতের বিচার প্রক্রিয়ার কারণে বিনা বিচারে আটকের সংখ্যা বাড়ছে।
প্রসিকিউশনের গাফিলতির কারণে আসামীরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে বলে প্রধান বিচারপতির সঙ্গে একমত পোষণ করে এটর্নি জেনারেল বলেছেন, গাফিলতির কারণে আসামীরা ৫০ শতাংশের বেশি মামলায় খালাস পেয়ে যায়।