২০২১ সালের মধ্যে সবার জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম নিশ্চিত করতে চায় সরকার।
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানিয়েছেন, আগামী বাজেটে এ বিষয়টি বিবেচনায় রেখেই ব্যয় পরিকল্পনা ঠিক হয়েছে, বাড়ানো হচ্ছে উপকারভোগীর সংখ্যা।
বেসরকারি খাতে পেনশন স্কিম চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে তার। পরীক্ষামূলকভাবে মন্ত্রী এটি শুরু করতে চান ২০১৮ সালের মধ্যেই।
সামাজিক নিরাপত্তা কিংবা সামাজিক সুরক্ষা যে নামেই ডাকুন, সরকারি ব্যয়ে পিছিয়ে পড়া মানুষের কল্যাণে সুনির্দিষ্টভাবে বিনিয়োগ ধারণার প্রবর্তক শেখ হাসিনা।
১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে প্রথমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হয়ে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতাসহ বেশ কয়েকটি দরিদ্র-বান্ধব উদ্যোগ নেন তিনি।
পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন ৪ দলীয় জোটের অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমান এই কর্মসূচি কেবল চালু রেখেছেন তা নয়, ভাতার পরিমাণ এবং উপকারভোগীর সংখ্যা দু’টোই বাড়িয়েছেন।
পরবর্তীতে তত্ত্বাধায়ক সরকারসহ সব সরকারের সময়েই সামাজিক নিরাপত্তা বাজেটের আকার কেবল বেড়েছেই। বর্তমান সরকার চাইছে কেবল দরিদ্র কিংবা পিছিয়ে পড়া নয়, সবার জন্যই সামাজিক সুরক্ষা।
সার্বজনীন পেনশন স্কীম চালুর মাধ্যমে সবাইকে সুরক্ষা দিতে চান অর্থমন্ত্রী। এজন্য বেসরকারি খাতের আন্তরিক অংশগ্রহণ চেয়েছেন তিনি।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে বিভিন্ন কর্মসূচির ভাতার পরিমাণ বেশি না বাড়লেও উপকারভোগী বাড়বে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। তৃণমূলে স্যোশাল প্রটেকশন ইউনিট গঠন করে তথ্য সংগ্রহ এবং সুবিধাপ্রাপ্তদের তথ্যভাণ্ডার গঠন করার উদ্যোগও থাকবে সরকারের। সব মিলে ৬০ লাখ মানুষ সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় আসবে।
মোট বরাদ্দ জিডিপি’র ২.৩ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশে উন্নীত করার চিন্তাও রয়েছে অর্থমন্ত্রীর। বর্তামানে ২২ মন্ত্রণালয় ও সংস্থার অধীনে ১৪৫টি কর্মসূচী চালু রয়েছে। বর্দ্দাকৃত অর্থের পরিমান ৩০ হাজার কোটি যা চলতি বাজেটের প্রায় ১০ শতাংশ।