ভারতে মোদি সরকারের বেসরকারিকরণ নীতির প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভারতের ব্যাংককর্মীদের ইউনিয়নগুলি। সোমবার থেকে ধর্মঘটে ১০ লাখ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক কর্মচারী। টানা দু’দিন জারি থাকবে কর্মবিরতি। এর জেরে সপ্তাহের শুরুতে থমকে যেতে পারে ব্যাংকিং পরিষেবা।
হিন্দুস্থান টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে প্রকাশ, গত সপ্তাহ ও এই সপ্তাহ মিলিয়ে টানা চারদিন ব্যাংক পরিষেবা ব্যাহত হবে ভারতজুড়ে। গত সপ্তাহের মাসের দ্বিতীয় শনিবারের কারণে ব্যাংক বন্ধ ছিল। আর গতকাল রবিবার ছিল। এর পর সোম ও মঙ্গলবার ব্যাংক ধর্মঘট থাকছে। ফলে একটানা পরিষেবা না পাওয়ার জেরে নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
ধর্মঘটের প্রভাবে সাধারণ ব্যাংকিং পরিষেবা যেমন, নগদ জমা ও তোলা, চেক ক্লিয়ারেন্স, ঋণ গ্রহণ সংক্রান্ত কাজ ইত্যাদি স্থগিত থাকতে পারে। তবে, স্বস্তির কথা এটিএম পরিষেবা কার্যকর থাকবে এই দুই দিন। চালু থাকছে মোবাইল ব্যাংকিং।
ভারতের সবচেয়ে বড় ব্যাংক স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কর্মচারীরাও এই ধর্মঘটে কেন্দ্রে বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। ফলে, সপ্তাহের প্রথম দুই দিন ব্যাঙ্কিং পরিষেবা বন্ধ থাকতে পারে এসবিআই-এর বিভিন্ন শাখায়।
কানাড়া ব্যাঙ্কের কর্মী সংগঠনগুলিও এই প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছে। তবে, ব্যাঙ্ককর্মীদের তরফে জানানো হয়েছে যে, গ্রাহকদের যাতে খুব সমস্যা না হয়, সেদিকে নজর রাখা হবে।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক বন্ধ থাকলেও বেসরকারি ব্যাংক চালু থাকছে। সোম ও মঙ্গলবার খোলা থাকছে HDFC, ICICI, কোটাক মাহিন্দ্রা ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক ও ইন্দাসল্যান্ড ব্যাঙ্কের মতো বেসরকারি ব্যাঙ্কগুলি। তবে সংবাদসংস্থা এএনআই-জানিয়েছে, এর মধ্যে কিছু কিছু বেসরকারি ব্যাঙ্কের নির্দিষ্ট শাখাতেও শুরু হয়েছে কর্মবিরতি।
ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাংক ইউনিয়ন (UFBU)- ভারতের নয়টি ব্যাংক ইউনিয়নের মাথা UFBU । কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংক বেসরকারিকরণের নীতির প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এই দেশব্যাপী সংগঠন। প্রতিবাদ নয়া ব্যাংকিং নীতির বিরুদ্ধেও।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, ১৫ ও ১৬ মার্চের এই ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে প্রায় ১০ লাখ ব্যাংক কর্মচারী ও কর্মকর্তা।