বহু চেষ্টা করেছেন তাড়ানোর। ভেবেছিলেন নতুন মৌসুমে আর দেখতে হবে না মুখ। সব প্রচেষ্টা শেষপর্যন্ত বিফলের পথে। আসছে মৌসুমে ফের গ্যারেথ বেলকে নিয়ে দল সাজাতে হবে জিনেদিন জিদানকে!
২০১৯-২০ মৌসুম শেষে জাতীয় দল ওয়েলসে খেলতে গিয়েছিলেন বেল। উয়েফা নেশনস লিগে খেলা শেষে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে খেলার অপেক্ষায় ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
ফিরলে কী হবে, বেল ভালো করেই জানেন ড্রেসিংরুমে জায়গা পেলেও জিদানের ফুটবল মস্তিষ্কে তার জায়গা প্রায় নেই বললেই চলে। ফরাসি কোচ একাধিকবার ক্লাবকে জানিয়েছেন, বেলকে মোটেও চান না।
রিয়ালও বেলকে বিক্রির চেষ্টা করছে না এমন নয়। বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, একসময়ের বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলারকে কেনার জন্য টু-প্রস্তাবও করেনি কোনো ক্লাব!
বাধ্য হয়েই জিদানের দলে বেলকে রাখার ব্যাপারে অনেক দেনদরবার করেছে রিয়াল। তাছাড়া ডাগআউটে হয় বসে কিংবা ঘুমিয়ে থাকা এক খেলোয়াড়কে সপ্তাহে শুধু শুধু তিন লাখ ইউরো বেতন দেয়ার অহেতুক ইচ্ছাও নেই স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নদের।
জিদানকে তাই অনেকটা জোর করেছিলেন ক্লাব সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ, বেলকে অন্তত বদলি হিসেবেও যেন মাঠে নামানো হয়। তাতে কাজ হয়নি, সেটা গত মৌসুমেই দেখা গেছে। বরং খেলতে না পেরে ডাগআউটে বেলের ঘুমের দৃশ্য ফুটবল দুনিয়ায় যুগিয়েছে হাসির খোরাক।
খবর, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের কাছে মোটামুটি দামে বেলকে গছিয়ে দেয়ার তালে আছে রিয়াল। ওদিকে ওয়েলস তারকার সাবেক ক্লাব টটেনহ্যামও তাকে ফিরিয়ে নিতে পারে বলে গুঞ্জন। রিয়ালের সাবেক শিষ্য বেলের ব্যাপারে স্পার কোচ হোসে মরিনহোর আগ্রহের কথা কয়েককান করেছে ইংলিশ মিডিয়াগুলো। আপাতত এগুলো গুঞ্জন পর্যায়েই আছে। দলবদলের এপর্যন্ত জোর কোনো কথা শোনা যায়নি।
যেটাই হোক মঙ্গলবার রিয়ালের অনুশীলনে ফিরছেন বেল, জিদানের সাথে তার দেখা হওয়া মোটামুটি নিশ্চিত। ফিরলেই ফের জিদানের মুখোমুখি, দুজনের থমথমে চেহারা, এমনটা বিশেষ পছন্দ নয় ক্লাব কর্তাদের। পাশাপাশি বেশিরভাগ সময় ম্যাচ না খেলে মাস শেষে ১০ লাখ ইউরো নিয়ে যাচ্ছেন একটা খেলোয়াড়, তাতেও আছে জ্বালাপোড়া। ক্লাব সতীর্থরাও নাকি এখন বেলকে তেমন পাত্তা দেন না!
জিদান ও রিয়াল তাই চাইছে যেকরেই হোক তাড়াতে হবে বেলকে। এখন যে বেতন পান বেল, সেটার চেয়ে অনেক কম বেতনে পছন্দমতো খেলোয়াড় পাবেন রিয়াল কোচ। কিন্তু কোনো ক্লাবই যে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না ওয়েলস তারকার ব্যাপারে।
এদিকে রিয়ালও বেলকে মুফতে ছাড়তে রাজি নয়। শেষপর্যন্ত কী বেল রিয়ালেই থাকবেন, নাকি জিদানের স্বস্তি হয়ে ক্লাব ছাড়বেন, সেটি ফয়সালার সময় আছে আরও একমাস!