কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কবি ও সাংবাদিক বেলাল চৌধুরীর মরদেহে বুধবার শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন সর্বস্তরের মানুষ।
বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাযার পর ফেনীতে নিজ গ্রামের বাড়ি শর্শদিতে দাফন করা হবে তাকে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। বিগত প্রায় ৪ মাস ধরেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কবি বেলাল চৌধুরী।
গত ১৯ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৮০ বছর বয়সী কবিকে আইসিইউতে নেয়া হয়। পরদিন শুক্রবার অবস্থার আরও অবনতি হলে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে নেয়া হয় লাইফ সাপোর্টে।
১৯৩৮ সালের ১২ নভেম্বর ফেনীর শর্শদি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন বেলাল চৌধুরী। কর্মজীবনে সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে নেন তিনি। বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত ‘ভারত বিচিত্রা’র সম্পাদক ছিলেন দীর্ঘদিন। সম্পাদনা করেছেন ‘সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ’ পত্রিকা। এছাড়াও কলকাতায় থাকার সময় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’ এর সঙ্গে জড়িত ছিলেন তিনি।
বাংলা সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে একুশে পদক পান তিনি। অর্জন করেছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও।
‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’,‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’ তার উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ।
বাংলাদেশের অগ্রগণ্য কবিদের একজন ছিলেন বেলাল চৌধুরী। বাংলাদেশের সাহিত্যকে পশ্চিমবঙ্গে পরিচিত ও জনপ্রিয় করে তোলার ক্ষেত্রে তার অনেক অবদান ছিল। তিনি বাংলাভাষী কবিদের মধ্যে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তি চট্টোপাধ্যায় থেকে শামসুর রাহমান, সৈয়দ শামসুল হকের অভিন্ন হৃদয়েষু বন্ধু ছিলেন।
দুই বাংলায় তিনি ছিলেন জনপ্রিয় কবি।