চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অশ্বিনকে দলে রাখা না রাখাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলি এবং তখনকার কোচ অনিল কুম্বলে। যা পরে বিতর্কের কেন্দ্রে চলে আসে। মিনি বিশ্বকাপে রানার্সআপ হয়েছে ভারত, ক্যারিবিয়ান সফরও শেষ। দুয়ারে শ্রীলঙ্কা সফর। নতুন কোচ পেয়েছে ভারত। তবে বিতর্কের পাশ থেকে সরে যাওয়া হয়নি অশ্বিনের। নতুন সফরের আগে নয়া বিতর্কে জড়ালেন তিনি।
১৯৫৮ সালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিমান দুর্ঘটনার সঙ্গে চেন্নাই সুপার কিংসের আইপিএলে প্রত্যাবর্তনকে তুলনা করে ভক্তদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
আগামী মৌসুমে আবারও আইপিএলে ফিরছে ফিক্সিংয়ের অভিযোগে দুই বছর নিষিদ্ধ থাকা চেন্নাই। দলটির হয়ে খেলা ক্রিকেটার অশ্বিন ক্রিকইনফোকে বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় দুবছর ক্রিকেটের বাইরে থাকায় চেন্নাইকে নিয়ে সবার আগ্রহটা বেড়ে যাবে। ঠিক যেমন বিমান দুর্ঘটনার পরে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ক্ষেত্রে হয়েছিল। দুটো বিষয় হয়তো এক না, কিন্তু আমার মনে হয় চেন্নাইয়ের দিকে ভক্তরা একই আগ্রহে তাকিয়ে।’
অশ্বিনের এমন বক্তব্যের পর ভারতীয় স্পিনারকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শুরু হয়েছে তীব্র আলোচনা-সমালোচনা। জার্মানির মিউনিখ বিমানবন্দরে টেকঅফের সময় দুর্ঘটনার মুখে পড়েছিল রেডডেভিল খেলোয়াড়দের বহনকারী বিমানটি। মর্মান্তিক সেই দুর্ঘটনায় নিহত হন আটজন ফুটবলারসহ ২৩ জন। এমন মর্মস্পর্শী ঘটনার সঙ্গে ফিক্সিংয়ে অভিযুক্ত এক দলের তুলনায় বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছেন ক্রীড়াপ্রেমীরা।
সাধু মহারাজ নামের একজন লিখেছেন, ‘কীভাবে অশ্বিন একটি দুর্নীতিবাজ দলের সঙ্গে মিউনিখ ট্র্যাজেডির তুলনা করতে পারলেন?’ প্রশান্ত পল লিখেছেন, ‘অশ্বিনের জীবনে সবচেয়ে খারাপ অধ্যায়। চেন্নাইয়ের সঙ্গে ম্যানইউর তুলনা।’
বিতর্কের সঙ্গে খেলার মাঠেও ফ্লপ অশ্বিন। তার প্রভাব পড়েছে টেস্ট বোলারদের র্যাঙ্কিংয়েও। একটা সময় শীর্ষে থাকা অশ্বিনের অবস্থান তিনে। সেটি নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি নিতিন নায়েক নামে এক ভক্ত, ‘মুখের পিচ্ছিল কথায় চেন্নাইয়ের সঙ্গে ম্যানইউর তুলনায় আইসিসি র্যাঙ্কিয়েও পিছলে গেছেন অশ্বিন। এখন তিনি তিনে।’
এমন ক্ষিপ্ত সমালোচনার মুখে অশ্বিন চেষ্টা করেছেন ভক্তকুলকে শান্ত করতে, ‘মিউনিখ দুর্ঘটনা নিয়ে আমার বক্তব্যের ঠিক মতো ব্যাখ্যা করা হয়নি। আমি মোটেই ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সেই ঘটনার সঙ্গে চেন্নাইয়ের তুলনা করতে চাইনি। আমি বলেছিলাম, যখন কোনও টিম দীর্ঘ দিন বাদে ফিরে আসে, তখন তাদের নিয়ে উৎসাহের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। আরও বেশি করে সমর্থকেরা টিমের খেলা দেখতে আসে। আমার বক্তব্য নিয়ে এত হইচই করার কোনও মানে নেই।’
পরে মেজাজ হারিয়ে বলেছেন, ‘যারা আমাকে ঘৃণা করে, তাদের জন্য বলছি, আপাতত আমাকে ভুলে যান। আবার যখন আমার কথার ভুল ব্যাখ্যা হবে, তখন আবার কথা হবে।’