দেশের প্রধান স্থলবন্দর বেনাপোল থেকে স্বর্ণপাচারকারী মাইনউদ্দিন (২৬) কে আটক করেছে শুল্ক গোয়েন্দা। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মুল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
সোমবার সকাল থেকে দীর্ঘ নাটকীয়তার পর দুপুরে এই পাচারকারীর কাছ থেকে শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল ১০ টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
মইনুল খান বলেন, মাইন উদ্দিনের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগরে। তিনি সোমবার সকালে ভারতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্টে আসেন। শুল্ক গোয়েন্দা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাইনউদ্দিনকে নজরদারিতে রাখে। কাস্টমস এবং ইমিগ্রেশন আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে সীমান্ত পেরিয়ে চলে যাওয়ার সময় ট্রাভেল ট্যাক্স চেকিং পয়েন্টে তাকে চ্যালেঞ্জ করে শুল্ক গোয়েন্দা।
তার হাটাচলায় অস্বাভাবিকতা লক্ষ করলে শুল্ক গোয়েন্দার সন্দেহ আরো বেড়ে যায়। তবে তিনি কোনোভাবেই তার পেটে স্বর্ণ থাকার কথা স্বীকার করছিলেন না।
তিনি বলেন, শুল্ক গোয়েন্দার দলের কাছে নিশ্চিত তথ্য থাকায় এক পর্যায়ে নিজে থেকে বের না করে দিলে যাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে অপারেশন করে তলপেট কেটে স্বর্ণ বের করা হবে বলার পর মাইনউদ্দিন সব স্বীকার করেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায়, যাত্রী দুটি করে গোল্ডবার স্কচ টেপ দিয়ে পেঁচিয়ে একটি প্যাকেট বানিয়ে রেক্টামে প্রবেশ করান। এ রকম ৫টি প্যাকেট প্রবেশ করান যাত্রী। বেনাপোলে এসে বাস থামার পর বাথরুমে গিয়ে যাত্রী প্যাকেটগুলো পায়ুপথে পুশ করেন। এজন্য ঢাকার উত্তরায় বিশেষ প্রশিক্ষণ নেন তিনি। শুল্ক গোয়েন্দাদের নজরদারির হাত থেকে বাঁচার জন্য এই অভিনব পদ্ধতি গ্রহণ করেন বলে তিনি জানান।
জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানান তিনি একজন খুচরা কসমেটিক্স ব্যবসায়ী। ভারত থেকে কসমেটিক্স এনে তিনি তার এলাকায় বিক্রয় করেন।
মইনুল খান বলেন, ১০টি স্বর্ণবারের প্রতিটির ওজন ১০০ গ্রাম, মোট ওজন ১ কেজি। আটক স্বর্ণের মুল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
আটক স্বর্ণমানব মাইন উদ্দিনকে চোরাচালানের দায়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং অন্যান্য আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আটককৃত স্বর্ণ বেনাপোল কাস্টমস গুদামে জমা করা হবে বলেও জানান তিনি।