পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে দুদকের অনুসন্ধানের অগ্রগতি প্রতিবেদন আগামী দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে করা রিটটি পেন্ডিং রেখে মঙ্গলবার বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার এম সারওয়ার হোসেন ও ব্যারিস্টার মনজ কুমার ভৌমিক। বেনজীর আহমেদের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী শাহ মনজুরুল হক ও সাঈদ আহমেদ রাজা। দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশিদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো: সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বেনজীর আহমেদসহ তার পরিবারের সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে একটি রিটটি করেন। সে রিটে বেনজীর আহমেদের পরিবারের সদস্যদের সম্পদ নিয়ে সম্প্রতি কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে অনুসন্ধানের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বেনজীরের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুদকের নিস্ক্রীয়তাকে কেন বেআইনী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারির আর্জি জানানো হয়। এই রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান, দুদক কমিশনার (তদন্ত), দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ও দুদক সচিবকে বিবাদী করা হয়।
রিটের পর গতকাল আইনজীবী সালাহ উদ্দিন রিগ্যান বলেন, গত ৩১ মার্চ ও ২ এপ্রিল দৈনিক কালেরকণ্ঠ পত্রিকায় বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সে প্রতিবেদন প্রকাশের পরও দুর্নীতি দমন কমিশন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়েছে।
এর আগে রোববার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বেনজীর আহমেদের সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করেন।সোমবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন জানান, বেনজীর আহমেদের সম্পদ নিয়ে অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে কাজ শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।