তৈরি পোশাক ও নীটওয়্যার কারখানার ৩৫ লাখ শ্রমিক কর্মচারীর ঈদ বোনাস ১৫ জুলাই, আর জুন মাসের বেতন ১০ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে। পোশাক শিল্প মালিকদের কাছে এই নির্দেশ পাঠিয়েছেন তাদের সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। বেতন-বোনাস নিয়ে যে কোন অরাজকতার বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি তাদের।
তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএর সদস্য প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কারখানা। এর মধ্যে ৩ হাজার বিজিএমইএ’র ও দেড় হাজার নীটওয়্যার উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিকেএমইএর। মোট শ্রমিক কর্মচারী প্রায় ৩৫ লাখ। শ্রমিকদের ঈদ বোনাস ও বেতন পরিশোধ নিয়ে প্রতিবারই ঈদের আগে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়। তবে এবার এ ধরনের কোন অঘটনের সম্ভাবনা নেই বলে আশ্বস্ত করেছে দুই সংগঠন।
বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ঈদের ছুটির আগে ঈদের বোনাস দিতেই হবে ও জুন মাসের সম্পূর্ণ বেতন দিতে হবে।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি(অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদ বলেন, অনেকেই আমাদের কাছে জানতে চান বেতন-বোনাস এক সঙ্গে দিয়ে দেয়া হয়না কেন। এক্ষেত্রে আমরা দেখি অনেক শ্রমিক বাড়ি চলে যায়। আর গার্মেন্টস সেক্টর হলো চেইন অব প্রোডাকশন। শ্রমিকদের দুই একজন বাড়ি চলে গেলে সেই লাইনের কাজ সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। সে কারণে বেতন আগে দিয়ে বোনাস ঈদের পরে দেয়া হবে।
বেশিরভাগ কারখানা ১২ জলুাই থেকে ১৫ জুলাইয়ের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঈদ বোনাস দেবে। আর জুনের বেতন নির্ধারিত সময়ের ৫ দিনের আগেই পরিশোধের চেষ্টা থাকছে কারখানাগুলোর। তবে আশংকা, দুই সংগঠনের বাইরে থাকা ছোট ছোট কারখানাগুলো নিয়ে।
বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি(অর্থ) রিয়াজ বিন মাহমুদ বলেন, শিল্প পুলিশের কাছ থেকে আমরা ছোট ছোট ৪০টির মতো কারখানার তালিকা পেয়েছি। আমরা সেই কারখানাগুলোতেও যাচ্ছি। কবে বেতন দেয়া হবে এসব প্রশ্ন নিয়ে আমরা কাজ করছি।
বিকেএমইএ’র সভাপতি সেলিম ওসমান আরো বলেন, দেখা গেছে সদস্য পদ ছাড়াই অ্যাসোশিয়েশনের সদস্য হিসেবে বেশ কিছু কারখানা গড়ে ওঠেছে। এই কারখানাগুলো আমাদের মনোনয়নের বাইরে। তারপরও আমরা ঈদের সময় এইসব কারখানায় শিল্প পুলিশের মাধ্যমে মনিটরিং করবো।
জরুরী কোন শিপমেন্ট না থাকলে ঈদ বোনাস দেয়ার পর ফ্যাক্টরিগুলো শ্রমিক কর্মচারীদের ঈদের ছুটি দেবে।