এলিমিনেটরের বাধা টপকাতে পারল না প্রথম আসরেই চমক দেয়া লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর ২০৭ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে ১৪ রান আগেই পা হড়কিয়েছে লক্ষ্ণৌ। বদলি হিসেবে নেমে ঝড়ো সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করায় রজত মনোহর পাতিদারকে অবিসংবাদিত নায়ক বলে শুভেচ্ছায় ভাসিয়েছেন মাইক হেসন।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনে টসে জিতে ফাফ ডু প্লেসিসদের ব্যাটিংয়ে পাঠায় লোকেশ রাহুলের দল। অধিনায়ক দ্রুত ফিরলেও হাল ধরেন পতিদার। ৫৪ বলে ঝড়ো ১১২ রানের ইনিংস খেলেন পাতিদার। ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি তুলতে হাঁকিয়েছেন ৭ টি ছয় ও ১২ টি চার। শেষ দিকে দীনেশ কার্তিকের ২৩ বলে ৩৭ রানে ভর করে রানের পাহাড়ে চাপে বেঙ্গালুরু।
জবাবে লক্ষ্ণৌকে ম্যাচে রেখেছিল রাহুল ও দীপক হুডা। ৫৮ বলে ৭৯ রানে রাহুল ও ২৬ বলে ৪৫ রানে হুডা ফিরলেও ম্যাচে ছিল লক্ষ্ণৌ। কিন্তু শেষ দিকে আর কোনো ব্যাটার হাল ধরতে না পারলে ১৪ রানে জয় তুলে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে আরসিবি।
গুরুপ্তপূর্ণ ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করায় দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রশংসায় ভাসছেন পাতিদার। বাহবা মিলেছে অভিজ্ঞ কোচ হেসনের থেকেও।
‘রজত পাতিদার একজন অবিসংবাদিত নায়ক। তিনি বদলি হিসেবে এসেছেন, আমাদের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেছেন। তাকে আমরা দেখতে চাই, আগামী কয়েক বছরে সে কীভাবে বিকাশ করে।’
আসর জুড়েই দীনেশ কার্তিকের ব্যাটে রান যা স্বস্তি দিচ্ছে হেসনকে। এবি-ডি ভিলিয়ার্সের অভাব মিস করতে দিচ্ছে না তাকে বলে জানিয়েছেন ম্যাচ শেষে।
‘টুর্নামেন্ট যত এগিয়েছে কার্তিক আরও ভাল করছে। ডিকে এখন কঠিন শিলায় রূপান্তরিত হয়েছে। আপনি যখন এবি-র মতো একজনকে মিস করেন, তখন আপনার দলে এরকম কাউকেই চাই। তাকে আমরা প্রতিস্থাপন করছি না, তবে ফিনিশিংয়ের ক্ষেত্রে তিনি ব্যতিক্রমী ছিলেন।’
আগামী কাল রাত ৮টায় ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে আরসিবি।